দুর্নীতি দমন কমিশন আরও শক্তিশালী করতে সংশোধনী অধ্যাদেশ অনুমোদন
দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নতুন অধ্যাদেশের লক্ষ্য হলো- কমিশনকে আরও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা এবং আগের সরকারের সময়ে বিস্তৃত দুর্নীতি দমন করা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী কমিশনে পাঁচজন কমিশনার থাকবেন। তাদের মধ্যে একজন নারী এবং অন্তত একজন বা দুইজন আইটি পেশাদার থাকবেন।
আইটি পেশাদার অন্তর্ভুক্তির কারণ ব্যাখ্যা করে শফিকুল আলম বলেন, ‘আজকের দুর্নীতি মূলত ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে। ক্যাশলেস সমাজে বড় অঙ্কের অর্থ এক ক্লিকেই স্থানান্তর করা সম্ভব—নগদ টাকার সময় শেষ।’
তিনি আরও জানান, চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন নিয়মে কমিশন প্রতি ছয় মাস অন্তর অনলাইনে কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। এছাড়া, কমিশনের কর্মকর্তারা যারা সরাসরি দুর্নীতি দমন তদন্তে যুক্ত থাকবেন, তাদের সম্পদের বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।
বিভি/এসজি




মন্তব্য করুন: