ভূমিকম্পে নিহত শিশু হাফেজ ওমর, বাঁচানো গেল না তার বাবাকেও
শিশু হাফেজ ওমর ও তার বাবা।
সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদীতে আঘাত হানা ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি গ্রামে ভবনের দেয়াল ধসে ৮ বছরের শিশু হাফেজ ওমর ফারুক নিহত হয়েছেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা দেলোয়ার হোসেনও মারা যান।
শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের আজকিতলা গ্রামে গাছ থেকে পড়ে ফোরকান (৩৫) নামে এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাজম আলী (৭৫) এবং ডাঙ্গা ইউনিয়নের নাসির উদ্দীন (৬৫) নামের আরও দুই বৃদ্ধও ভূমিকম্পে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ভূমিকম্পের কারণে নরসিংদী শহরের পাশাপাশি পলাশ, শিবপুর, রায়পুরা, মনোহরদী, বেলাবো ও মাধবদী এলাকায় অনেক ভবন ফেটে বা হেলে পড়েছে। পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থগিত রয়েছে। এদিকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারটি আবাসিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী সদর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে, এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
নরসিংদীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে কাজ করছে। এদিকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম চালু করে আহত ও নিহতের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: