রাষ্ট্রপতির আকস্মিক সরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ!
ছবি: ফাইল ফটো
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এবার সরাসরি জানিয়ে দিলেন—তিনি আর দায়িত্বে থাকতে চান না। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন শেষ হলেই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
বঙ্গভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি ‘অপমানবোধ’ করছেন। বিশেষত নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে কাজ করতে গিয়ে তার অবস্থান ক্রমশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে বলে জানান তিনি।
সাধারণত বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আনুষ্ঠানিক- নির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে। তবে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে যায় ২০২৪ সালের আগস্টে। ছাত্রদের নেতৃত্বে দেশজুড়ে গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হলে রাষ্ট্রপতির প্রতিষ্ঠানই হয়ে ওঠে দেশের শেষ সাংবিধানিক কর্তৃত্ব।
২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনয়নে পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন। কিন্তু মেয়াদের অর্ধেক পথও পেরোয়নি, তার আগেই বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল তিনি।
রয়টার্সকে তিনি স্পষ্টই বলেছেন, ‘আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই। নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা আমার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। কিন্তু এরপর আমি বিদায় নিতে আগ্রহী।’
রাষ্ট্রপ্রধানের এমন অপ্রত্যাশিত বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে—নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতির পদে কাকে দেখা যেতে পারে, আর এই ঘোষণা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী প্রভাব ফেলবে, এখন সেটিই বড় প্রশ্ন।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্বে থাকলেও, এর বাইরে রাষ্ট্রে তার পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। দেশের কার্যনির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে।
তবে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলে এ পরিস্থিতি পাল্টে যায়, এবং রাষ্ট্রপতি পদ নতুন করে গুরুত্ব পায় বলে জানায় রয়টার্স। সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর সাহাবুদ্দিনই ছিলেন দেশের শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। সূত্র: রয়টার্স
বিভি/এমআর




মন্তব্য করুন: