বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধিতে বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধাঞ্জলি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রইফের সমাধিতে (বর্ডার গার্ড বাংলাদশ) বিজিবির পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা ও পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ সমাধিতে এই পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
স্বাধীনতার এ বীর সেনানীর সমাধীতে বিজিবি মহাপরিচালকের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আহসান হাবিব। এরপর রাঙ্গামাটি সদর সেক্টরের পক্ষে পুস্পস্তবক প্রদান করা হয়।
এসময় বিজিবির কাপ্তাই জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল কাওসার মেহেদী, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের ছিন্নভিন্ন দেহ সমাহিত করা ও সনাক্তকারী দয়াল কৃঞ্চ চাকমা, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা ও পরিচালক ইয়াছিন রানা সোহেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিউগলের করুন সুর বাজিয়ে সশস্ত্র সালাম প্রদান করে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় জাতির এই সূর্য সন্তানকে। এছাড়া বীরশ্রেষ্ঠের আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে বিজিবি রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ আহসান হাবিব দয়াল কৃঞ্চ চাকমাকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিট কমান্ডের পক্ষ থেকে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ শ্রদ্ধা জানান। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিট কমান্ডের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বীরশ্রেষ্ঠের সমাধিতে পুস্তস্তবক অর্পণ শেষে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ২০ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বীর দর্পে লড়াই করে শত্রুদের পরাস্ত ও পিঁছু হটতে বাধ্য করেন তৎকালীন ইপিআরের ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ। তার সাহসিকতার কারণে সেদিন প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে শত্রুদের ছোড়া মর্টার সেলের আঘাতে চিহ্নভিন্ন হয়ে পড়ে মুন্সী আব্দুর রউফের শরীর।
আর এখানেই তাকে সমাহিত করেন বুড়িঘাট যুদ্ধের প্রত্যক্ষসাক্ষী স্থানীয় যুবক দয়াল কৃষ্ণ চাকমা। দীর্ঘ ২৬ বছর এক নাগাড়ে তিনি বীরশ্রেষ্ঠের সমাধির দেখভাল করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকার মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ও বীরত্বপূর্ণ ভুমিকার জন্য মুন্সী আব্দুর রউফকে সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করে।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: