শহীদ ওসমান হাদির কবরে রোপণ করা হলো রক্তজবা গাছ
চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন বিপ্লবী শরীফ ওসমান হাদি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই ওসমান হাদিকে দাফন করা হয়েছে। পরে তার কবরে রক্তজবা ফুলগাছ রোপণ করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়ান তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজাস্থল ও টেলিভিশনে যারা সরাসরি দেখেছেন তাদের বেশিরভাগই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
জানাজা শেষে হাদির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাবির সেন্ট্রাল মসজিদের পাশে জাতীয় কবি নজরুলের সমাধির পাশে সমাহিত করা হবে।
শনিবার সকালে ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। পরে তার মরদেহ আবারও নেওয়া হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে গোসল শেষে সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে মিছিলসহ মরদেহ নিয়ে নিয়ে আসা হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়।
ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে শনিবার সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় আসতে শুরু করেন মানুষ। দুপুরের মধ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ফার্মগেট, বিজয়স্মরণী, আসাদগেটসহ আসপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
মেট্রোরেল-বাস-পায়ে হেঁটে স্লোগানে স্লোগানে ঢল নামে জনতার। ‘আমরা সবাই হাদি হবো যুগে যুগে লড়ে যাবো’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ইত্যাদি স্লোগানও দেন তারা।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: