শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় জনস্রোতের খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শেষ বিদায়ে শনিবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পরিণত হয়েছিল এক বিশাল জনসমুদ্রে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় আনা হলে সেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ লাখো মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে এই মহান বিপ্লবীকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। ওসমান হাদির এই শেষ বিদায় এবং তাকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের আবেগ আজ বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে।
বিশ্বের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলোতে শরিফ ওসমান হাদির শেষ বিদায় ও জানাজার খবরটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে। কাতারভিত্তিক আল জাজিরা হাদির জানাজার জনসমুদ্রের ছবি প্রকাশ করে তাকে ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে অভিহিত করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জানাজায় অংশগ্রহণ এবং জাতীয় কবির পাশে হাদির দাফনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিরল সম্মান হিসেবে বর্ণনা করেছে। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং এনডিটিভি হাদির স্মরণে লাখো মানুষের আবেগঘন স্লোগান ও ড. ইউনূসের শোকাতুর বার্তার প্রতি আলোকপাত করেছে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এই শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার খবর দিয়েছে।
এ ছাড়া ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি, তুরস্কের টিআরটি ওয়ার্ল্ড এবং সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টেও বাংলাদেশের এই তরুণ বিপ্লবীর অকাল প্রয়াণ ও তার প্রতি সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার চিত্র ফুটে উঠেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হওয়ার পর ঢাকা ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াই শেষে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। তার মৃত্যুতে শনিবার(২০ ডিসেম্বর) সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে।
বিভি/টিটি




মন্তব্য করুন: