উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদান
বাসস
উৎসবমুখর পরিবেশ শেষ হয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ হেভিওয়েট প্রার্থীরা নির্বাচন করছেন ঢাকা মহানগর থেকে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ দিনে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গতকাল ছিলো প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। সকাল থেকে সেগুনবাগিচা ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসতে থাকেন প্রার্থীরা। শেষ দিনের তাড়াহুড়ো, সমর্থকদের স্লোগান আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের মধ্য দিয়েই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনয়ন ফরম জমা দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়ক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রির্টানিং কর্মকর্তার হাতে তারা মনোনয়ন জমা দেন। গণতন্ত্রের পথ উত্তরণের জন্য আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
ঢাকা-৮ আসন থেকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়। মনোয়ন জমা দেন ঢাকা ৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-৫ এ নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৭ এ হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা-৯ এ হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা-১৮ এস এম জাহাঙ্গীর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমা দেন। ঢাকা-১৩ তে মনোনয়ন ফরম জমা দেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া ববি হাজ্জাজ, মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টি, চরমোনাই ও বাম দলের প্রার্থীরাও।
ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোয়ন জমা দেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি জানান, নির্বাচনী কৌশল হিসেবে তারা জামায়াতের সঙ্গে জোট করেছেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।
ঢাকা-১৫ আসন থেকে জামায়েতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে আঞ্চলিক কার্যালয়ে মনোনয় জমা দেওয়া হয়। ঢাকা-১৪ আসন থেকে মনোনয়ন জমা দেন ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান।
নিয়ম মেনে প্রার্থীরা মনোয়ন জমা দিয়েছেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে যাচাই বাছাই। ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। প্রচারণা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ ১২ ফেব্রুয়ারি।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: