• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

কত ভিউ হলে কোনো ভিডিওকে ভাইরাল বলে?

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ১৫ মার্চ ২০২১

আপডেট: ১৮:৫৬, ১৫ মার্চ ২০২১

ফন্ট সাইজ
কত ভিউ হলে কোনো ভিডিওকে ভাইরাল বলে?

অনলাইন বা ডিজিটাল প্লাটফর্ম, বিশেষ করে ই-মেইল ইউটিউব, কিংবা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে কোন ভিডিও কনটেন্ট অনেক বেশি দর্শক দেখলে তাকে ভাইরাল ভিডিও বলা হয়ে থাকে।

কিন্তু আসলে কি পরিমাণ ভিউ হলে ভিডিওটিকে ভাইরাল বলা যায়?

অনেকেই ২০১২ সালে প্রকাশিত Kony ভিডিওটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিও বলে বিবেচনা করে থাকেন। ভিডিওটি তিন দিনে ৩৪,০০০,০০০ ভিউ হয়েছিলো এবং ছয় দিনে এটির ভিউ দাঁড়িয়েছিলো ১০০,০০০,০০০। তবে একই বছর প্রকাশিত Gangnam Style গানটির পাঁচ মাসে ভিউ হয়েছিলো এক বিলিয়নের বেশি। ২০১৭ সালে Despacito ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইউটিউবে গ্যাংনাম স্টাইলই সবচেয়ে বেশি ভিউ হওয়া ভিডিও ছিলো।

এসব তুমুল জনপ্রিয় ভিডিও ছাড়াও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ভিডিও নিয়ে আলোচনা হয়, ভাইরাল বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এই ভিডিওগুলোর সবই কি ভাইরাল বলে বিবেচনা করা যায়?

কোনো ভিডিওকে ভাইরাল হিসেবে বিবেচনার জন্য বেশ কিছু পন্থা রয়েছে। পরিসংখ্যানগত দিক থেকে শুধুমাত্র ভিউয়ের সংখ্যার বিচারেই কোনো ভিডিওকে ভাইরাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে সাধারণভাবে ধরে নেয়া কোনো ভিডিও যখন বেশিবার শেয়ার হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই সেটি বেশি লোকের কাছে পৌঁছায় এবং তার ভিডিও বেড়ে যায়।

ইউটিউব ব্যক্তিত্ব কেভিন নাল্টি যিনি নাল্টস নামেই বেশি পরিচিতি, তার ব্লগে এক সময় লিখেছিলেন, 'একটা সময় কোনো ভিডিও এক মিলিয়ন হিট পেলেই তাকে ভাইরাল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তবে ২০১১ সালে তিনি বলেন, কোনো ভিডিও যদি তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ৫ মিলিয়ন ভিউ পায় তাহলে তাকে ভাইরাল হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

২০০৪ সালের Numa Numa প্রথম তিন মাসে দুই মিলিয়ন ভিউ হওয়ার বিষয়টিকে ২০১৫ সালের আর্টিকেলে 'সময়ের বিস্ময়কর (ভিউয়ের) সংখ্যা' বলে উল্লেখ করেছিলেন।

এর বাইরেও নাল্টস তিনটি বিষয়ের কথা বলেছেন। সেগুলো হল- buzz (গুঞ্জন বা আলোচনা), parody (ব্যঙ্গাত্মক) এবং longevity (দীর্ঘস্থায়ীত্ব)। তবে এই তিনটি বিষয় বিচার করে সিদ্ধান্তে আসা বেশ জটিল।

buzz বলতে তিনি ভিডিওর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে বুঝাতে চেয়েছেন। তার মতে, যে ভিডিও মানুষের বেশি পছন্দ হবে সেটি তারা বেশি শেয়ার করবে। এরফলে অনলাইন এবং অফলাইনে সেই ভিডিও নিয়ে বেশি আলোচনা হবে। বিষয়টাকে এভাবে বলা যায়- যে ভিডিও নিয়ে যতো Buzz বা আলোচনা হবে সেই ভিডিও ততবেশি ভিউ পাবে। আবার যতবেশি ভিউ পাবে ততবেশি আলোচনা হবে।

কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পেছনে তার আপলোডার বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়া, জনপ্রিয় কোনো সোর্চ যেমন- নিউজ চ্যানেল কিংবা কোনো সেলিব্রিটি ভিডিও আপলোড করলে সেটির Buzz বেশি হয়।
কোনো ভিডিওর জনপ্রিয়তা পরিমাপের জন্য ইউটিউব যে অ্যালগোরিদম ব্যবহার করে এটিও তার অংশ।

Parodies, spoofs and spin-offs ; এই বিষয়গুলো মূল ভিডিওর ভিউ বাড়িয়ে দেয়। কোনো জনপ্রিয় ভিডিও নিয়ে যখন প্যারোডি তৈরি করা হয় তখন সেটা নিয়ে হওয়া আলোচনায় মূল ভিডিওটাও চলে আসে।

Longevity দ্বারা বুঝানো হচ্ছে, ভিডিওটি ওই সময়ের ভাবধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।

কোনো ভিডিও ভাইরাল কিনা সেটা সেটি নির্ধারণের জন্য উপরের বিষয়গুলো বিবেচনার কথা বলেছেন কেভিন নাল্টি।

বিভি/এমএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2