ইন্টারনেটে প্রাণঘাতি খেলা ব্লু হোয়েলের ভয়াল থাবায় বাংলাদেশ
“ব্লু হোয়েল” ইন্টারনেটভিত্তিক ডেথ গেমস। এই খেলাটিতে পর্যায়ক্রমে ৫০টি ধাপের চ্যালেঞ্জ পেরোতে হয়, শেষ ধাপে রয়েছে আত্মহত্যার নির্দেশনা। এর মধ্য দিয়েই জীবনের পাশাপাশি ইতি ঘটে গেমসটিরও। রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ফেরত এক ছাত্রের উদ্ভাবিত গেমসটির শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের কিশোররাও। মেধাবী শিক্ষার্থী অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা এই গেমস খেলেই আত্মহত্যা করেছেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু-কিশোরদের মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। নিষিদ্ধ করা উচিত “ব্লু হোয়েল” গেমসের লিংকটিও।
ইন্টারনেটে গেমস খেলার নেশা রয়েছে অসংখ্য তরুনের। কারণ চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন তরুনরা। এমনই একটি ইন্টারনেট গেমস "ব্লু হোয়েল"। এই গেমসটির বিভিন্ন ধাপে খেলোয়াড়কে দেয়া ঝুকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। একাকী ঘরে হরর মুভি দেখা, ছাদের কার্নিশে ঘুরে বেড়ানো, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে তিমির ছবি আঁকার মতো চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে হয় খেলোয়াড়দের। সবশেষ ধাপটিতে থাকে আত্মহত্যার চ্যালেঞ্জ। এরমধ্য দিয়ে গেমসটিতে জয়ী হলেও জীবন যুদ্ধে হেরে যান খেলোয়াড়টি।
একাধিক কিউরেটরের নিয়ন্ত্রনে চলে খেলাটি। কেউ বেরিয়ে যেতে চাইলে তাদের চাপে রাখতে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। গোপনে এই গেমসটিতে আসক্ত হয়ে পড়েছেন দেশের অনেক কিশোর-তরুনরা।
ফার্মগেট হলিক্রস স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণার আত্মহত্যার কারণ ব্লু হোয়েল গেমস এমন ধারনা পরিবারের। বৃহস্পতিবার এই শিক্ষার্থী নিজের ঘরে আত্মহত্যা করে।মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ইন্টারনেটে কি কাজে ব্যবহার হচ্ছে সেটি যেমন নজরদারি করা উচিত, তেমনি এসব গেমসের সাইটগুলি দ্রুত বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।এরইমধ্যে ভারতসহ বেশ কযেকটি দেশে ব্লু হোয়েল গেমসের সাইটটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে গেমসটির উদ্ভাবককেও।
মন্তব্য করুন: