• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত পাটগাতী লঞ্চঘাট

প্রকাশিত: ০১:২৫, ১৭ মার্চ ২০২১

আপডেট: ০১:৫১, ১৭ মার্চ ২০২১

ফন্ট সাইজ
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত পাটগাতী লঞ্চঘাট

নিয়াজ মাখদুম ও মনোজ কুমার সাহা

পাটগাতী ছিল গোপালগঞ্জের বড় বন্দর। এটি বড় ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে ওঠে। মধুমতী নদীর এই লঞ্চ ঘাটটির রয়েছে ৩শ' বছরের গৌরবময় ইতিহাস। শুধু তাই নয়, ঘাটটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত। পাটগাতী লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা, কোলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতেন তিনি।

৯০'র দশকের শুরুতেই নদীটি নাব্যতা হারাতে শুরু করে। পরে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ, পাটগাতী লঞ্চঘাট থেকে পল্টুন প্রত্যাহার করে নেয়। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক এ লঞ্চঘাটটি পরিণত হয় বিরান ভূমিতে।

এ লঞ্চঘাটের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে মধুমতী নদীর পাটগাতী লঞ্চঘাটে আধুনিক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল বোট ল্যান্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দিলে লঞ্চঘাটটি আবার মুখরিত হয়ে উঠবে।

প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। স্থাপনার মধ্যে মানুষের আনাগোনা থাকলেও এখনই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া যাচ্ছে না। নতুন করে ভেতরের সড়ক, টিকেট কাউন্টার, ওয়াশরুম, গ্রীণ রুম ও কফিশপ নির্মাণের সুপারিশ করেছে এলজিইডি। এই কাজ শেষ হলেই পর্যটকদের জন্য এটি উন্মুক্ত করবে কর্তৃপক্ষ। এরপর পুরো স্থাপনাটি দেখভালের জন্য টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সুলাইমান বিশ্বাস বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, সুপারিশ করা কাজ এখনো শুরু হয়নি। তাই কবে নাগাদ পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করতে পারবো তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বাংলাভিশন ডিজিটালকে জানান, ঘাটের নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল বোট ল্যান্ডিং। এতে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের আদলে থিয়েটার, পর্যটন স্পট, বাণিজ্যিক র্যা ম্প, জেটিসহ অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। নয়নাভিরাম এ স্থাপনা সব বয়সের মানুষকে বিনোদিত করবে। জানান দেবে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে।

পাটগাতী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক জানান, বঙ্গবন্ধু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লঞ্চে করে পাটগাতী ঘাটে এসে নামতেন। তারপর পায়ে হেটে পাটগাতী বাজারে যেতেন। সেখান থেকে কখনো পায়ে হেটে বা নৌকায় করে টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাড়িতে যান। এ ঘাটের সঙ্গে তার শৈশব থেকে বিভিন্ন বয়সের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।  সরকার এটি সংরক্ষণ করায় নতুন প্রজন্ম এখানকার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের শতবর্ষী আব্দুল হামিদ শেখ অনেকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। মুজিবের স্মৃতি স্মরণ রাখতে ঘাট সংরক্ষণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, এটি দেখে দর্শনার্থীরা খুশি হবে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে।

বিভি/এনএম/এমএস

মন্তব্য করুন: