সূর্যগ্রহণ ঘিরে যতো পৌরাণিক তথ্য
রাত পোহালেই আসছে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণের দিন। চন্দ্রগ্রহণের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় গ্রহণে পড়তে যাচ্ছে সূর্য। এবারের গ্রহণটিকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলছেন বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ১২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে সূর্যের এই গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিট ১২ সেকেন্ডে। তবে এবারের সূর্যগ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি দেখা যাবে না।
এই সূর্য গ্রহণকে ঘিরে বিভিন্ন দেশে প্রচলিত রয়েছে নানা পৌরাণিক তথ্য। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত কিছু পৌরাণিক কাহিনি।
সূর্য-চাঁদের বিয়ে ও মিলন
সূর্যগ্রহণ নিয়ে জার্মানিতে বহু পৌরাণিক মতে বিশ্বাস করা হয়, সূর্য আর চাঁদের বিয়ের দিন গ্রহণ হয়। সেই দিন অগ্নিগর্ভ থাকে সূর্য ও চাঁদ ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে আসে সূর্যের দিকে। তারপর তাদের মিলন হয় বলে বিশ্বাস রয়েছে।
চীনে কোন বিশ্বাস প্রচলিত?
চীন, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া বা সাইবেরিয়ায় মনে করা হয়, কোনো কাল্পনিক চরিত্র গিয়ে সূর্যকে গ্রাস করতেই সূর্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এমন বিশ্বাসে বশবর্তী হয়ে বহু আচার-আচরণ পালন করে চীন ও তার সংলগ্ন এলাকা।
সূর্যকে গ্রাস করে রাহু!
ইন্দোনেশিয়ার মানুষ বিশ্বাস করেন যে রাহুই সূর্যকে গ্রাস করতে শুরু করেছে। তবে এই গ্রাসের সময় রাহু নিজের জিভ পুড়িয়ে ফেলেছে বলে বিশ্বাস করেন এরা। আর জিভ পুড়ে যাওয়ার কারণে রাহু সূর্যকে গ্রাসমুক্ত করে দেয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত আছে।
রাগে নিজেকে ঢেকে নেয় সূর্য!
আরমেনিয়া ও ট্রান্সেলভেনিয়ায় মনে করা হয়, সূর্যগ্রহণের নেপথ্যে রয়েছে সূর্যের রাগ-অভিমান। মানুষের কর্মকাণ্ডের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এভাবে সে রুদ্র মূর্তি ধারণ করে। নিজেকে রাগের বশে ঢেকে নেয় সূর্য। এমনই বিশ্বাস সেখানে প্রচলিত রয়েছে।
বিভি/কেএস/এওয়াইএইচ
মন্তব্য করুন: