মধ্যরাত থেকে ২০ জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ

ষষ্ঠ ধাপে দেশে ২০ জেলার ২৪টি উপজেলার ১৩৮ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই সব নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল ও যন্ত্র চালিত যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৪ ঘণ্টার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
এছাড়া আজ মধ্যরাত থেকে এসব নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাও বন্ধ হচ্ছে। মধ্যরাতের পর থেকে আর নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না।
আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে নির্বাচনী প্রচার কাজ বন্ধ করতে হয়। ভোটগ্রহণ শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায়। তার ৩২ ঘণ্টা পূর্বে অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত ১২টার পর আর প্রচার চালানো যাবে না। শুধু তাই নয়, কোনো মিছিল, বিজয় মিছিল, মশাল মিছিল, আনন্দ র্যালিও করা যাবে না।
ইসি’র উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, মোটরসাইকেলের পাশাপাশি আগামীকাল রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক ও পিকআপ চলাচলও বন্ধ থাকবে। ইসি’র অনুমোদন নেওয়া গাড়ি এই সংক্রান্ত নির্দেশনার বাইরে থাকবে। এজন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
এই সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়- সপ্তম ধাপে ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ভোটের দিন ৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক ও পিকআপ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি। একইসংগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য।
এছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
অন্যদিকে জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
চলমান ইউপি নির্বাচনে ইতিমধ্যে ছয় ধাপের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ ও অষ্টম ধাপে ১০ ফেব্রুয়ারি ৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বিভি/এইচকে/রিসি
মন্তব্য করুন: