• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চকচকে পোশাক দেখিয়ে ক্রেতাদের পাঠাতো ময়লা-ছেঁড়া কাপড়

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৬:৪৮, ১৮ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
চকচকে পোশাক দেখিয়ে ক্রেতাদের পাঠাতো ময়লা-ছেঁড়া কাপড়

ফেসবুকে চকচকে শাড়ি-থ্রি পিসের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতো তারা। এরপর কেউ পছন্দের পণ্যটি অর্ডার করলে অগ্রিম টাকা নিয়ে ডেলিভারি দিতো ময়লা-ছেঁড়া পুরাতন কাপড়। এরপর ব্যবহৃত নাম্বার বন্ধ করে দিতো তারা। এইভাবেই চক্রটি মাসে হাতিয়ে নিতো ২০-৩০ লাখ টাকা। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এমন অপরাধ করছিলো চক্রটি। অবশেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে তারা। 

রবিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. বাপ্পি হাসান (২৪), মো. আরিফুল ওরফে হারিসুল (১৯), মো. সোহাগ হোসেন (২২), মো. বিপ্লব শেখ (২৫) ও নুর মোহাম্মদ (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ব্যবহার অযোগ্য ও অতি নিম্নমানের পুরাতন ও ছেঁড়া শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ।

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, অনলাইনে প্রতারণা চক্রের দলনেতাসহ পাঁচজনকে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকার পশ্চিম ধানমণ্ডি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাড়িতে বসে এই অনলাইন প্রতারক চক্রের সদস্যরা ফেসবুকে ১৭টি পেজ খুলে ভালো মানের পণ্যের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপন দেখে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার আসে। চক্রটি অর্ডার পাওয়ার পর মানুষকে নিম্নমানের, ব্যবহারের অযোগ্য ও নষ্ট মালামাল কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, তারা একটি পেজ কিছুদিন ব্যবহার করার পর বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবার নতুন পেজ খুলে একইভাবে প্রতারণা করে। প্রতারণা করে চক্রটি নিম্নমানের পণ্য দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয় করতো। ৫-৬ বছর ধরে তারা এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।

ডিসি রাজীব আল মাসুদ বলেন, এসএ পরিবহনের বুকিংম্যান ও লেবারদের মাধ্যমে প্রতিটি বুকিংয়ে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বুকিং করতো বলেও জানিয়েছে গ্রেফতাররা। তাদের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে তারা এমন প্রতারণা করেও কেন আইন-শৃংখলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলো, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি ডিবি লালবাগ বলেন, অল্প টাকার প্রতারণায় অনেকেই থানায় যেতে চান না, বিষয়টি ঝামেলা মনে করেন। যে কারণে প্রতারণার বিষয়টি পুলিশের জানার বাইরে ছিলো।

বিভি/এসএইচ/রিসি 

মন্তব্য করুন: