• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব চাকরি হারালেন ফেসবুকে কবিতা লিখে

প্রকাশিত: ২২:১২, ১৬ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব চাকরি হারালেন ফেসবুকে কবিতা লিখে

ফেসবুকে কবিতা লিখে চাকরি হারালেন ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. সাইদুর রহমান। তিনি ‘রহমান হেনরী’ নামে কবিতা লেখেন।

সাইদুর রহমান সর্বশেষ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে ওএসডি করা হয়। সোমবার (১৩ জুন) তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

তার বিরুদ্ধে সরকারপ্রধানকে নিয়ে ফেসবুকে ‘ব্যঙ্গাত্মক’, ‘কুরুচিপূর্ণ’ ও ‘অশোভন’ কবিতা লেখার অভিযোগ উঠেছে।

বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাইদুর রহমান ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪৬ মিনিটে তার ফেসবুক আইডি ‘রহমান হেনরী’ থেকে ‘রহমান হেনরী’ ছদ্মনামে একটি কুরুচিপূর্ণ, অশোভন ও আপত্তিকর কবিতা প্রকাশ করেন। এটি একদিকে একজন সরকারি কর্মচারীর পক্ষে অশোভন ও অকর্মকর্তাসুলভ আচরণ এবং অন্যদিকে এতে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর তাকে কৈফিয়ত তলব করা হয় এবং একইসঙ্গে তিনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না, তা জানতে চাওয়া হয়।

অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণীর আলোকে তিনি লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেন। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর তার ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করা হয়। লিখিত জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানির বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় বিভাগীয় মামলাটি তদন্ত করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, তদন্তে সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর ৪ (৩)(ঘ) অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের গুরুদণ্ড আরোপের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।এ রপর তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সেই নোটিশের জবাবও সন্তোষজনক হয়নি।

পরে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাইদুর রহমানকে  চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: