• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জীবনে ইভিএম না দেখারাও টিভিতে কথা বলছেন: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত: ১৮:২০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
জীবনে ইভিএম না দেখারাও টিভিতে কথা বলছেন: ইসি আলমগীর

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ইভিএম নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা আছে। হয়তো জীবনে কোনোদিন দেখেনওনি-তারা টিভিতে কথা বলছেন। যারা পক্ষে বলছেন তারাও ভুল বলছেন।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ওভাররাইট করার সুযোগ নেই। এখানে ওভাররাইটের বিষয় নেই। কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তার আগে তার পরিচিতি এনআইডি নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হবে। অথচ টক শোতে বলছেন ওভাররাইট করা যায়। অনেকে বলছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এটাকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারেন। কিন্তু আপনারা এসে দেখেন, যে ইভিএম চাইবেন আপনাদের সেটাই পরীক্ষা করতে দেবো, দেশে বিদেশের এক্সপার্ট নিয়ে আসেন, দেখেন।’

তিনি বলেন, ‘আবার বলা হয়, মামলা হলে কিসের ভিত্তিতে হবে। ভিপি ট্রেইল তো নেই। আমাদের ইভিএমে এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা আছে। সেখানে এক বছর পর্যন্ত সিলগালা অবস্থায় থাকবে। এখান থেকে কোন মার্কায়, কখন ভোট পড়েছে, কত ভোট পড়েছে সব প্রিন্ট করা যাবে বলেন তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বাস কিন্তু ভোটাররা করে। কোথাও দেখেছেন এটা নিয়ে প্রতিবাদ করতে, মিছিল করতে। তারা তো ইভিএম দেখেনইনি। যারা লিখছেন তারা তো ইভিএম দেখেনইনি, শুনেনওনি। তারপরও লিখে ফেলছেন।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমটা আসলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করছি। আমরা পারলে ৩০০ আসনেই করতাম। কিন্তু, ওই যে বললাম টাকা নাই। আবার ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারবো না। আমরা যদি আরও দুই বছর আগে আসতাম তাহলে ৩০০ আসনে করতাম।’

তাদের টার্গেট সুষ্ঠু নির্বাচন করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই ইভিএমে যাবে না। যাবে যেখানে ব্যালট পেপারে ভোট হবে। আমরা এজন্যই ব্যালটে যেখানে হবে, সেখানে ফোর্স বেশি মোতায়েন করবো। আমাদের ওই ফোর্স এখানে দিতে হতো, কিন্তু ইভিএমের আসনগুলোতে অত লাগবে না, সেই ফোর্স আমরা ব্যালটের আসনে দেবো।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে প্রাথমিক ব্যয় বেশি। একটা ব্যালট কিন্তু ছাপাতে হয়, বহন করতে হয়, প্রচুর খরচ আছে। ইভিএমে একবার খরচ হয়। এরপর এটা আমরা নানা নির্বাচনে ব্যবহার করি। মামলা করার জন্য যে সময় থাকে, ওই সময় পর্যন্ত আমরা ইভিএমটা রেখে দিই। সেই সময় শেষ হলেই কেবল আরেকটা নির্বাচনে ওই ইভিএমটা ব্যবহার করি। ইভিএমে লাইফ টাইম ২০ বছর পর্যন্ত আছে। এটা তো কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যবহার করছি। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছি। এই কমিশন আসার পর একটা নির্বাচনও ব্যালটে করিনি।’

তিনি বলেন, ‘১২ কোটি ভোটারের পরিপূর্ণ আস্থা আছে। হয়তো রাজনৈতিক কৌশল আছে। তবে তাদেরও অন্তরে আছে, মুখে নেই। কারণ অনেক দলই বিপক্ষে কথা বলছে, কিন্তু আমাদের কাছে এসে পক্ষে বলেছেন। একটি দলের একজন মাননীয় সংসদ সদস্য আমাদের কাছে এসে লিখিত দরখাস্ত করেছেন তার এলাকায় ইভিএম দেওয়া জন্য। কাজেই এটা অন্তরে আছে, উনারা ইভিএম বিশ্বাস করেন।’

ইভিএমের ভোটে সবাই নির্বাচনে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০২৩ বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, তাতে সকল দল অংশগ্রহণ করবে বলে আমরা আশাবাদী। ৩৯টি দলই যে আছে, তারা সকলেই আসবে বলে আশাকরি। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি মনে করে অন্য দলের সঙ্গে নির্বাচন করবে অথবা অন্য একটি দলকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য অংশগ্রহণ করবেন না, এমনটাও তো হতে পারে।  আমরা অবশ্যই ভোটের পরিবেশ তৈরি করবো। আমাদের ভেতরে ও বাহিরে এক। আলাদা নেই কিছু। রোডম্যাপে আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলার কথা উল্লেখ করেছি। কোনো কমিশনই কি এর আগে তা করেছে?’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমরা কনফিডেন্ট এজন্য যে এই রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করবো। বাস্তবায়ন করলে সবাই আসবে। ইভিএম ব্যবহারের কারণে কোনো দল নির্বাচন বয়কট করবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি।’

বিভি/এইচকে/এনএ

মন্তব্য করুন: