• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

পাঠ্যবইয়ে কপি ও গুগলের অনুবাদ, জাফর ইকবাল ও হাসিনা খানের দায় স্বীকার

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৮:০০, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পাঠ্যবইয়ে কপি ও গুগলের অনুবাদ, জাফর ইকবাল ও হাসিনা খানের দায় স্বীকার

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান

নতুন শিক্ষাবর্ষের নতুন বই পৌঁছে গেছে শিক্ষার্থীদের হাতে। আর সেই নতুন বইয়ে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের একটি অংশে কপি করা ও গুগল থেকে হুবহু অনুবাদ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ সত্য বলে মেনে নিয়ে দায় স্বীকার করেছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান।

জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের একটি অংশে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে কপি করা হয়। পরে ওই ইংরেজি অংশটুকু গুগল ট্রান্সলেট থেকে হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে। দুদিন আগে জাতীয় দৈনিকের মতামতে এই বিষয়টি উঠে আসলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে দায় স্বীকার করে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ওই যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, সারা দেশে ২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক ছাপা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইটির ব্যাপারে একটি অভিযোগ তাদের নজরে এসেছে। তারা বলেছেন, অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এই সব লেখকের কাছ থেকেই একধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যেকোনো যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান ছাড়াও বইটি রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব, রনি বসাক। বইটি সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন জাফর ইকবাল।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2