• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রোজার আগেই খেজুরের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ

মামুন আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত: ১৭:৩৬, ১৯ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
রোজার আগেই খেজুরের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ

ফাইল ছবি

খেজুর বিদেশি ফল হলেও, রমজানে এর কদর বেশ চাঙ্গা। ধর্মীয় রীতিনীতির পাশাপাশি সারাদিনের ক্লান্তি আর পুষ্টির অনেকটাই যোগান দেয় আরবীয় ফলটি। তাই মুসলিমরা রমজান উপলক্ষ্যে সাধ্যমত বিভিন্ন মানের খেজুর কিনে থাকেন এ সময়ে। 

তবে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের দামে নেই সুখবর। মানভেদে ফলটির দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। এ জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন, পাইকার ও আড়ৎদারদের সিন্ডিকেটকে। আর আমদানিকারকরা বলছেন ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতেই বেড়েছে বিদেশি ফলটির দাম। তবে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে কৃত্রিম বাজার সংকটের বিরুদ্ধে কঠোর মনিটরিংয়ের পরামর্শ বাজার বিশ্লেষকদের।  

বিক্রেতারা বলেন, গত বছরের তুলনায় পাঁচ কেজির কার্টুনে বেড়েছে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। যা সাধ্যের বাইরে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের। মমতাজ-মরিয়ম জাতের খেজুরের পাঁচ কেজির কার্টন ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর  তা ৩৫০০ বিক্রি হচ্ছে টাকায়। গত বছর ফরিদা জাতের খেজুরের পাঁচ কেজির কার্টুন ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এ বছর বেড়ে হয়েছে ১৫০০ টাকা।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের হিসাব বলছে, বিগত তিন মাসে নভেম্বর-জানুয়ারি খেজুর আমদানি হয়েছে ২২ হাজার ৭শ টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি ছিল ৪০ হাজার ৮শ টনের বেশি। যেখানে এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে এ বছর আমদানি প্রায় ৪৫ শতাংশ কমেছে।

দাম বাড়ার জন্য এলসির অপর্যাপ্ততা এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধিকেই দুষছেন ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। দাম কমাতে শুল্ক ছাড়ের পরামর্শ বাজার বিশ্লেষকদের। 

দেশে সারা বছর খেজুরের চাহিদা এক লাখ টন হলেও শুধু রমজানে এর চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার টনে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: