ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ১১৬, দূষণের তালিকায় ৮ম

ছবি: সংগৃহীত
প্রায়ই বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর আজ রীতিমত চমক দেখিয়েছে। শহরটির বাতাসের দূষণ কমে বাসিন্দাদের জন্য পুরোপুরি স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর মাত্র ২৮ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার একদম নিচের দিকে চলে গেছে লাহোর। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, ‘ভালো’ বাতাস নিয়ে ৯৭তম স্থানে নেমে এসেছে শহরটি। পাকিস্তানের আরেক শহরের করাচির বাতাসের মানও আজ ‘মাঝারি’।
এদিকে, টানা কয়েকদিন ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও আজ ঢাকার বাতাস হয়ে উঠেছে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়তে দেখা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ঢাকার বাতাসের মানের আরও অবনতি ঘটেছে।
একিউআই স্কোর ১১৬ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৮ম স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮৮। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার নবম স্থানে ছিল ঢাকা। সে তুলনায় আজ অনেকটা অবনতি ঘটেছে শহরটির বাতাসের মানে।
একই সময়ে আজ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, একিউআই স্কোর ১৭৫। আইকিউএয়ারের মতে, শহরটির জনগণের মধ্যে গাড়ির অতিরিক্ত ব্যবহার দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব যানবাহনের অনেকগুলোই পুরোনো, এমনকি কিছু সোভিয়েত আমলেরও রয়েছে। এসব প্রাচীন ইঞ্জিনে চলে এবং আধুনিক, পরিচ্ছন্ন যানবাহনের তুলনায় অনেক বেশি তেলীয় বাষ্প, ধূলিকণা ও ক্ষতিকর রাসায়নিক ধোঁয়া বাতাসে নির্গত করে। তাসখন্দে দূষণের অন্যান্য কারণ হলো কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত ধোঁয়া।
অন্যদিকে, ১৫৯ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে আজ তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাতারের দোহা ও ভিয়েতনামের হ্যানয়।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: