হু হু করে বাড়ছে পানি, বিপদসীমা ছুঁতে পারে হাওরের নদী

দেশের বিভিন্ন স্থানে ও ভারতের উজানে চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে ইতোমধ্যে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওরের ফসল। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারী বৃষ্টিপাতের এই ধারা অব্যাহত থাকবে আগামী ৪৮ ঘণ্টাও। আর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকলে খুব অল্প সময়ে বিপদসীমা ছুতে পারে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার নদীগুলোর পানি।

রবিবার (৩ এপ্রিল) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া হাওর অঞ্চলের নদনদী পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এর প্রভাবে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার প্রধান নদনদী সমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে বলেও জানানো হয় পূর্বাভাসে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন নদনদীর ৩৯টি পয়েন্টের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১২টি পয়েন্টে, কমেছে ২৫টিতে, অপরিবর্তিতত ছিল ১টি পয়েন্ট। এছাড়া একটি পয়েন্টের তেথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়। 

হাওর এলাকার নদনদীগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদনদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। এখন পর্যন্ত সকল নদনদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এদিকে, রবিবার সকালে দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে এই সময়ে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু‘এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। 

শনিবার রংপুরের রাজারহাটে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার, নীলফামারির ডিমলায় ৬১, তেঁতুলিয়ায় ১৮, রংপুরে ৭ এবং নেত্রকোনায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।