• NEWS PORTAL

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেড়তলা লঞ্চের নষ্টালজিয়া

মোহাম্মদ গোলাম নবী

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ২৮ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
দেড়তলা লঞ্চের নষ্টালজিয়া

ফাইল ছবি

কখনো কখনো কারণ ছাড়াই অনেক কিছু মনে পড়ে! যেমন: দেড় তলা লঞ্চের পিছনের অংশে থাকা কেন্টিনে দাঁড়িয়ে চায়ে ডুবিয়ে ক্রীম লাগানো বিস্কুট খাওয়ার কথা মনে পড়ছে! 
একসময় বরিশাল থেকে স্টিল ও কাঠ বডির দেড় তলা লঞ্চ রাত তিনটায় (কিংবা বারোটায়) ছেড়ে ৯/১০ ঘণ্টা পর খেপুপাড়াতে পৌঁছাতো। অনেকগুলো লঞ্চ ছিল। দুটো লঞ্চের নাম আবছা আবছা মনে পড়ে। এগুলো তুলনামূলকভাবে একটু ভালো মানের ছিল। একটার নাম সোহেলী পারভীন এবং অন্যটা জর্জ বা এমন কিছু। (যারা আমার এই লেখা পড়ছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো নামগুলো ঠিক কিনা বলতে পারবেন)।

 

এই লঞ্চগুলোকে দেড়তলা বলছি কারণ দোতলায় আপার ক্লাস বলে একটা কক্ষ ছিল যেখানে দরজার অংশ বাদ দিয়ে চারদিকে ঘুরানো বেঞ্চ, মাঝখানটা ফাঁকা। আর এই কক্ষের পাশে মেয়েদের জন্য লম্বা বেঞ্চসহ একটি কক্ষ। তারপাশে টয়লেট আর লঞ্চের স্টাফ কেবিন। এরপর একটা ফাঁকা জায়গা। এরপর একটু উচুঁ জায়গা পিছনের দিকে যেখানে নামাজের জায়গা। আর এর নিচে নানান আয়োজন। ছোট একটা ফাকা জায়গা দিয়ে দুই হাতে ভর দিয়ে উঠা নামার এক অদ্ভুত ব্যবস্থা ছিল। নিচের অংশে ডান পাশে চায়ের একটা ছোট দোকান। আর বা পাশে টয়লেট ছিল। আর একদম পেছনে নদীতে বালতি ফেলে পানি তুলে গোসল করার ব্যবস্থা ছিল। 

চায়ের দোকানের কেন্টিন বয় উপরে গিয়েও চা পৌঁছে দিতো। কিন্তু আমার আগ্রহ ছিল নিচে নেমে চা খাওয়ার। হলদে রংয়ের শক্ত এক ধরনের বিস্কুট ছিল। নামটা ভুলে গেছি। আর পাওয়া যেতো ক্রিম বিস্কুট। সম্ভবত হক কোম্পানির। এ সবই আশির দশকের কথা। এরপর আর আমি খেপুপাড়াতে যেতে এই লঞ্চগুলোতে উঠেছি বলে মনে করতে পারছি না!

মন্তব্য করুন: