• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বিয়ে না করলে চাকরি নট: নোটিসের নেপথ্যে যা ছিল 

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বিয়ে না করলে চাকরি নট: নোটিসের নেপথ্যে যা ছিল 

গোপালপুর উপজেলার সাজনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে ‘বিয়ে না করলে চাকরি থাকবে না’ মর্মে নোটিস দেওয়ার নেপথ্যে ছিল দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা। প্রধান শিক্ষক নিজের অপকর্ম আড়ালের জন্য আপত্তিকর নোটিস দিয়ে জবরদস্তি এবং চাকরিচ্যূতির হুমকি দেন। 

দুটি পৃথক বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে। 

জানা যায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম গত ২৬ জুলাই হিন্দু ধর্মবিষয়ক শিক্ষক রনি প্রতাপ পালকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিয়ে করার নোটিস দেন। অন্যথায় চাকরিচ্যূতির কথা বলা হয়।

ধর্মীয় রীতিনীতি এবং গোত্র বর্ণের সমস্যায় পাত্রী বাছাইয়ে আগামী অগ্রহায়ন পর্যন্ত বিয়ের সময় প্রার্থনা করেন রনি প্রতাপ। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বিয়ের নির্দেশ পালনের জন্য গত ২৩ আগস্ট রনি পালকে অফিসে ডেকে সকল শিক্ষকের সামনে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এমতাবস্থায় রনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন। এরপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন করেন। 

বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শিক্ষা অধিদপ্তরের টনক নড়ে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশক্রমে টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ঘটনা তদন্তে দুটি পৃথক কমিটি করে। দুটি তদন্ত কমিটির দুই দফা তদন্তে বলা হয়, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, চেক জালিয়াতি, সরকারি অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় না করা, অভিভাবক ও স্টাফদের হয়রানি এবং এখতিয়ার বহিভূর্তভাবে ক্ষমতা প্রয়োগের সত্যতা মিলেছে। নিজের দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা আড়ালের জন্যই বিয়ের নোটিস দিয়ে মন্দ দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে সুপারিশ করা হয়। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজনীন সুলতানা জানান, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী  নিরপেক্ষ তদন্তে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা রকমের দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা মিলেছে। 

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা জানান, সঠিকভাবে ঘটনার তদন্ত হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: