বিএনপির সাবেক এমপির বহিষ্কারের দাবিতে রাজবাড়িতে সংবাদ সম্মেলন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম দলীয় নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা করায় ৩১শে আগস্ট জেলা বিএনপির সাংবাদিক সন্মেলন করেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডঃ লিয়াকত আলী বাবু, যুগ্ম আহবায়ট ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি এডঃ আসলাম মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্যা সচিব এডঃ কামরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডঃ লিয়াকত আলী বাবু বলেন, সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ খৈয়ম দীর্ঘ ১৭ বছর কোন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ছিলেন না। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেছেন। ১৭ জানুয়ারী ২০২০সালে বিএনপির আহবায়ক কমিটি হয়। তিনি ওই দিনই শুধু উপস্থিত ছিলেন। আর কেন্দ্রের থেকে ৪৭ টি পোগ্রাম হয়েছে, কেন্দ্রের থেকে নেতাকর্মী এসেছে এই মিটিং গুলোতে কিন্তু তিনি মাত্র একটি মিটিংএ উপস্থিত ছিলেন। আমরা চাই আপনি প্রতিনিয়ত প্রতিটা মিটিংয়ে আমাদের সাথে যোগদান করেন। আপনাদের নেতাকর্মীদের কমিটিতে নাম দিতে হলে বলেন। আপনি এমপি ছিলেন, নির্বাচন হলে আপনি নমিনেশন এনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আবার এমপি হবেন। কিন্তু তাই বলে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা করবেন তা হবে না। সাংগঠনিক নীতিমালা না মেনে বিভিন্ন স্হানে সভা-সমাবেশ করছেন এমনকি রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমতি না নিয়ে তথাকথিত জেলা বিএনপির নেতৃত্বে সভাসমাবেশ করে যাচ্ছেন যা নেতাকর্দমীদের মাঝে দলীয় বিশৃঙ্খলা ও ভেদাভেদ সৃষ্টি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. কামরুল আলম বলেন, আলী নেওয়াজ খৈয়ম ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে মরহুম খালেক সাহেবের সাথে নির্বাচনে মাত্র ৯হাজার ভোট পেয়েছিলেন। আমরা খৈয়মকে তখন আমাদের দলে নিয়ে আমি। দলে আসার ৩মাসের মাথায় নমিনেশন পায় এবং নির্বচিত হয়। কিন্তু সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফা ও সিরাজ মৃদ্ধা ছিলেন। তাদের বাড়ি ঘর এখনো টিনের।তারা জিয়ার আদর্শ সৈনিক ছিলেন। কিন্তু খৈয়ম সেই জিয়ার সৈনিক হতে পারে নাই৷ তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক নেতা- কর্মীদের নিয়ে পৃথক সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। এসব কর্মকান্ড দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে তার বহিষ্কারের দাবী জানান।
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি এ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই রাজবাড়ী জেলা বিএনপি অফিসে জনসভা চলাকালে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন গাজীকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহায়তায় সাবেক এমপি খৈয়ম নির্মমভাবে হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করেছিল। বর্তমান সময়ে তার অব্যাহত চাঁদাবাজী ও দখলদারিত্বের কারণে রাজবাড়ীতে বিএনপির ভাবমূর্তি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দলের বিজয় ধরে রাখতে অবিলম্বে সাবেক এমপি খৈয়মের বহিষ্কার দাবী করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজী, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ পাভেল, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম রোমান সহ বিএনপির ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: