• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ঈদের দিনে জুলাই যোদ্ধাদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতেলে ইশরাক হোসেন

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ৭ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ঈদের দিনে জুলাই যোদ্ধাদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতেলে ইশরাক হোসেন

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জুলাই গণঅভ্যূত্থানে আহত যোদ্ধাদের দেখতে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল  ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) গিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। আহতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। 

শনিবার (৭ জুন) রাত ৮টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন ইশরাক হোসেন। 

এই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং আরেকটি ওয়ার্ডে ১৯ জন আহত জুলাই যোদ্ধা ভর্তি রয়েছেন। ইশরাক হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সারাদিনে এই বীর সন্তানদের কেউ খোঁজ নিতে যাননি। পরে নিজেই হাসপাতালে যান। 

এ সময় আহত কাজী জাবের বলেন, ঈদে কেউ কোনো খোঁজ নেননি। আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে হওয়া উপদেষ্টারা এখন আরাম আয়েশে ঘুরছেন, ঈদের আনন্দ করছেন। আর আমরা এখনও হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। আমাদের কোনো খোঁজ নেওয়ারও দরকার মনে করেন না তারা। এমনকি এই ঈদের দিনেও নষ্ট খাবার দেওয়া হয়েছে।

আরেক আহত নাদিম হাসান বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কি করলাম। মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আর তারা এখন ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। নতুন দল নিয় ব্যস্ত। আমাদের কথা ভাবার সময় কই! 

আহত আইয়ুব হোসেন বলেন, তাদের আর কি চাই? তারা তো উপদেষ্টা হয়েছেন। তাদের কি আর আমাদের কথা ভাবার সময় আছে। যারা জুলাই বেচে খাচ্ছে জুলাই তাদের ছাড়বে না।

আহতদের অভিযোগ শুনে হতাশা প্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন। একই সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই সরকার। অথচ তারা ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে। এই বীর যোদ্ধাদের কোনো খবর নেয় না, এই ঈদের দিনেও তাদের কোনো খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তারা।

তিনি বলেন, ছাত্র উপদেষ্টারা আছেন রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে। আর এই জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা নেই। জুলাই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইশরাক হোসেন। 

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এই সরকার যদি অতিদ্রুত আহত যোদ্ধাদের উন্নত চিকিৎসা না করে এবং এই আহতরা যদি আবারও আন্দোলন করে, তাইলে তাদের সাথে প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে যোগ দিবো।

এই হাসপাতালের দুইটি ওয়ার্ডে মো. রাফি হোসেন, কাজী মো. জাবের, মো. আল আমিন, মো. মনির হোসেন, মো. ছাব্বির হোসেন, মো. শাহিন আলম, মো. হাছান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রিফাত হাং, মো. পারভেজ মিয়া, মো. শাকিল খান, মো. আব্দল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রুমান হোসেন, মো. জামাল হোসেন, মো. আলম শেখ, মো. দুলাল, মো. মনির খান, মো. নাদিম ও আরেকটি ওয়ার্ডে মো. আইয়ুব হোসেন, মো. শামিম মিয়া, মো. সোয়েব, মো. আরাফাত, মো. সজিব হোসেন, মো. শহিদুল, মো. রেজওয়ান, মো. মাহিম, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. মাসুদ, মো. শাহ্ রিয়া, মো. মাসুমসহ ৪৮ জন ভর্তি রয়েছেন।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: