চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩১ ওয়ার্ডে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি

চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকালে কমিটিগুলোকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
এর আগে দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে গত ৩ জুন চট্টগ্রাম মহানগরের ৩১টি ওয়ার্ডে বিএনপির তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান দলীয় নীতিমালা ও সাংগঠনিক দিকনির্দেশনার আলোকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক (দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শওকত আজম খাজার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগরের বাকি ওয়ার্ডগুলোর কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।
কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলীয় অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অতীত আন্দোলনে ভূমিকা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যারা দুঃসময়ে দলের পাশে থেকেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে সংগঠন পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরই যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি মনে করে, এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলোর মাধ্যমে দলের ভেতর গণতান্ত্রিক চর্চা আরও সুসংহত এবং তৃণমূলে সংগঠনের ভিত্তি আরও মজবুত ও কার্যকর হবে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত ৩১ ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে ২ নম্বর জালালাবাদ, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ, ৪ নম্বর উত্তর চান্দগাঁও, ৫ নম্বর মোহরা, ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নম্বর শোলকবহর, ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী, ৪ নম্বর লালখান বাজার, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম, ১৬ নম্বর চকবাজার, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া, ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া, ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলি, ২৬ নম্বর ষোলশহর, ২৭ নম্বর আগ্রাবাদ, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ী, ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ী, ৩১ নম্বর আলকরণ, ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গি বাজার, ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা, ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা, ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা, ৪২ নম্বর সাংগঠনিক, ৪৩ নম্বর আমিন শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক, ৪৪ নম্বর সাংগঠনিক ও ৪৫ নম্বর দক্ষিণ চান্দগাঁও ওয়ার্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এ ধরনের সাংগঠনিক শক্তিশালীকরণ আগামী দিনে দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করবে এবং এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিএনপি গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করবে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: