• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

‘বর্তমান কমিশন নাগরিকদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে’

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ৩ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৭:৫১, ৩ আগস্ট ২০২৫

ফন্ট সাইজ
‘বর্তমান কমিশন নাগরিকদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে’

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন অঙ্গজুড়ে সামরিক উর্দি ও দলীয় পোশাকে আবৃত। বর্তমান কমিশন নাগরিকদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

রবিবার (৩ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে এনসিপি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন তিনি। এসময় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা উপস্থিত ছিলেন।

কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন উল্লেখ করে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন বলেন, দিন দিন দেখতে পাচ্ছি, ইসির অধিকাংশ অঙ্গজুড়ে হলো সামরিক উর্দি এবং বাকি যারা আছে তারা দলীয় পোশাকে আবৃত। আমরা এখনও ইসিকে ভুল ধরিয়ে দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি।

তিনি অভিযোগ করেন, আগে ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে; এবার নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দল ছাড়া অন্য কেউ যদি ভোট নিতে আসে, তাহলে সেখানে তারা সমস্যার সৃষ্টি করবে। এ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। ইলেকশন কমিশন সে পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। অর্থাৎ গত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আর এখন যদি কেউ ভোট নিতে যায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, সে প্রক্রিয়া তারা বাধাগ্রস্ত করছে। যত দিন এ ইলেকশন কমিশনকে দেখতে পাচ্ছি, ততই বুঝতে পারছি যে এটা মেরুদণ্ডহীন একটা ইলেকশন কমিশন।

নাসীরুদ্দীন বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে ইলেকশন কমিশন একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন প্রসেসে গেছে এনসিপি, আবেদন জমা দিয়েছি। ইসির বিরুদ্ধে সার্বিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে, এর আগে ইসিকে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছে এনসিপি। সামনে এটার কোথায় কোথায় সমস্যা জনগণের সামনে আমরা উদঘাটন করব। জনগণের সামনে আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে ইলেকশন কমিশন যে একটা মেরুদণ্ডহীন সেটা আস্তে আস্তে প্রকাশ পাবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা তাদের এখনও সুযোগ দিচ্ছি; তাদের সে শুভবুদ্ধির উদয় হোক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসুক; ভোট নেওয়ার প্রসেস থেকে শুরু করে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেওয়ার জন্য সচেষ্ট হোক।

এ ইসির অধীনে ভোটে যাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা আপাতত যে অবস্থায় আছি, সেটা বলেছি। ভোট গত ১৫ বছরে দিতে পারেনি, ভোট নেওয়ার সিস্টেম নেই। আমি যদি ভোট নিতেই না পারি, জনগণ যদি আমাকে ভোট দিতে আসে, আর আমাকে যদি ভোট নেওয়ার জন্য বাধাগ্রস্ত করা হয়; সেখানে যখন আমি বুঝব আমাকে ভোট নিতে দেবে না, তাহলে কেন অংশ নেবো আমরা? এটা এখনও এন্ডিং প্রসেসে আসেনি।

ইসির বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতিত্ব থাকলেও সামনে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান নাসির।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে দেখা করছি, কথা বলছি। ভুল দেখিয়ে দিচ্ছি। তাদের কারেকশনের সুযোগ দিচ্ছি। এটা অতীতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করেছি, তখন আমরা সুযোগ দিয়েছি; আপনারা কারেকশন হোন, আপনারা গুলি করবেন না। ইলেকশন কমিশন যদি সামরিক উর্দি পরে, দলীয় উর্দি পরে তার মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিতে চান এবং ভোট না দিতে চান; তাহলে ফাইনালি এ সিদ্ধান্তে যেতে আমরা বাধ্য হবো।

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন: