ওয়ান ইলেভেন স্টাইলে ডাকসু-জাকসু নির্বাচন হচ্ছে: পাপিয়া

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া বলেছেন, ‘বর্তমানে ১/১১ স্টাইলে ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানেও মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের মতো দখলদারিত্ব চলছে। আর তাই ব্যক্তিগতভাবে এই নির্বাচনকে আমি প্রত্যাখ্যান করেছি।’
শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট) আসনের নির্বাচনী মোটর শোভাযাত্রা শেষে আড্ডাবাজার এলাকায় এক পথসভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় বর্তমান অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রতি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
অ্যাডভোকেট পাপিয়া বলেন, ‘ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে কাকে কত শতাংশ ভোট দেয়া হবে তা আগেই চুড়ান্ত করা ছিল। কোন পদে কে বসবে তাও আগে চুড়ান্ত। ২০০৮ সালে নীল নকশার নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনের সাথে মিল রেখে ডাকসু-জাকসু-ইকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। ৫ আগষ্টের ছাত্র জনতার রক্তত্যাগের মর্যাদা আপনি দিতে পারেননি, ব্যর্থ হয়েছেন। ১৫ বছর দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের সংযোগ ছিল না। ছাত্রশিবির গুপ্তচরের মতো ছাত্রলীগের মধ্যে ঢুকে সুবিধা নিয়েছে। এ যেন কাকের বাসায় কোকিলের অবস্থান। সকল সুবিধা নিয়ে তারা এখন দেশ দখলের রাজনৈতিক খেলা খেলছে।
আর তাই যেদিন আবু সাঈদ-মুগ্ধদের হত্যার বিচার হবে, সেদিনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন লাভের আশাবাদ ব্যক্ত করে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মতি, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সামিরুল ইসলাম পলাশসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: