• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

খুনিদের ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়: নাহিদ ইসলাম 

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
খুনিদের ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়: নাহিদ ইসলাম 

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘ওসমান হাদির হত্যাকারীরা ভারতে পালিয়ে থাকলে, তাদের ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘এই লড়াই কেবল একজন নেতার হত্যার বিচার নয়, বরং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষার লড়াই।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে সংহতি জানাতে এসে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ শুধু আওয়ামী লীগকেই নয়, বরং দেশে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও রায় দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পর থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা করে আসছে। বাংলাদেশের প্রায় সব বড় রাজনৈতিক ও সামাজিক লড়াই এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেই সংগঠিত হয়েছে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই লড়াই থেকে আর পিছু হটার সুযোগ নেই বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি এই শাহবাগ থেকেই তার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লড়াই শুরু করেছিলেন। তার লড়াই ছিল ভারতীয় ও বৈদেশিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই।’

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা শুধু আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করিনি, বরং দেশে বিদ্যমান ভারতীয় এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধেও জনগণ স্পষ্ট রায় দিয়েছে।’ তিনি এই আন্দোলনকে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করেন।

আন্দোলনকারীদের দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলবে। তবে, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা বা গুলি চালানো হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আন্দোলনের ভেতরের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের নাশকতার (স্যাবটেজ) চেষ্টা হতে পারে। তাই জাতিকে বিভক্ত না করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় দফায় দফায় স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ এলাকা। সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৃথক বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সম্ভাব্য উত্তেজনা বিবেচনায় শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2