• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

‘নব্বইয়ের আন্দোলন এবং ২০২১-এর আন্দোলন এক নয়’

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
‘নব্বইয়ের আন্দোলন এবং ২০২১-এর আন্দোলন এক নয়’

বিএনপি’র সিরিজ বৈঠকের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে নেতারা বলেন, নব্বইয়ের আন্দোলন এবং ২০২১ এ শেখ হাসিনা’র বিরুদ্ধে আন্দোলন এক নয়। তখনকার প্রশাসন এবং এখনকার প্রশাসন এক নয়। সুতরাং একদিকে রাজপথে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। অন্যদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করতে হবে। 

বুধবার সাড়ে ছয় ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে ৮৫ জন নেতা অংশ নেন। এর মধ্যে ৮৩ জন বক্তব্য রাখেন। মূল মঞ্চে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মতামত শোনার পর দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলের পদ-পদবি এবং সামাজিক অবস্থানের কারণে কেউ পালিয়ে থাকতে পারবেন না। আন্দোলনের ডাক আসলে কারাগারে যেতেই হবে। সেক্ষেত্রে রাজপথ থেকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলে সেটাই হবে সফলতা।

বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পঞ্চগড় জেলা শাখার সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, নব্বইয়ের চেতনা নিয়ে আন্দোলন করলে হবে না। আন্দোলন করতে হবে পরিকল্পনামাফিক। কারণ ২০২১ এ সবকিছু দলীয়করণ করেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। তাই শেখ হাসিনা’র বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হলে ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। কিন্তু যখন হাইকোর্টে জামিনের জন্য আসি তখন দলীয় আইনজীবীদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাই না। বরং আমাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়। অথচ এসব আইনজীবী হাইকমান্ডের কাছে বলেন, তারা নাকি ফ্রিতে দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা দেখেন। এসব বিষয় হাইকমান্ডের জানা উচিত।

রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, আন্দোলনে সফলতা আনতে হলে তৃণমূলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনে বিএনপি’র সংগে সমন্বয় থাকতে হবে। এতে করে সংগঠন শক্ত হবে। সংগঠন শক্তিশালী করার পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও সমর্থন আদায় করতে হবে। এজন্য দলের কূটনৈতিক উইংকে শক্তিশালী করা ও কার্যকর ভূমিকাও রাখতে হবে।

বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি তিনি অংশ নেন।

বৈঠকে সাংগঠনিক বিভাগ চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। আজ শেষ দিনে হবে খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতির সংগে বৈঠক। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৩ দিন কেন্দ্রীয় নেতাদের সংগে সিরিজ বৈঠক করে বিএনপি’র হাইকমান্ড।

নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তাবিথ আউয়াল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আবদুল খালেক, রফিক শিকদার, মঞ্জুরুল আহসান, জাহাঙ্গীর আলম, মমিনুল হক, এসএম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মোস্তফা খান সফরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, মাহবুব ইসলাম মাহবুব, কাজী রফিক, শেখ মো. শামীম, খন্দকার মারুফ হোসেন, একরামুল হক বিপ্লব, আলাউদ্দিন হেনা, জিয়াউদ্দিন, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির।

উপস্থিত ছিলেন- সিরাজুল হক, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সুলতান মাহমুদ বাবু, মাহমুদুল হক রুবেল, ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম হিলালি, লায়লা বেগম, শামসুজ্জামান মেহেদী, আরিফা জেসমিন, রাবেয়া আলী, ডা. আনোয়ার হোসেন, মোতাহার হোসেন তালুকদার, মো. ইকবাল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবু কাহের শামীম, শাহ মোস্তফা, মজিবুর রহমান, হাসনা আক্তার সানু, গোলাম হায়দার, কাজী মফিজুর রহমান, ফোরকান ই আলম, সাচিং প্রু জেরী, মামুনুর রশিদ মামুন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ডা. মাজহারুল ইসলাম, সুশীল বড়ুয়া, মশিউর রহমান, ডা. শাহাদাত হোসেন, শাহ আলম, আবু সুফিয়ান, ম্যামাচিং, এজেডএম রেজওয়ানুল হক, বিলকিস ইসলাম, সাইফুর রহমান রানা, আমিনুল ইসলাম, মীর্জা ফয়সাল, হাসান রাজিব প্রধান, শামসুজ্জামান সাবু, গফুর সরকার প্রমুখ।

সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম। সহযোগিতায় ছিলেন দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন ও বেলাল আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার। 

বিভি/এনএম/এসডি

মন্তব্য করুন: