• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে’

প্রকাশিত: ১৩:০২, ২৫ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৪:২৫, ২৫ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
‘খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাসপাতালে এনে স্লো পয়জনিং-এর কোনো ব্যবস্থা হয়েছিলো কি না সে বিষয়ে সরকারের কাছে পরিষ্কার জানতে চান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

তিনি বলেন, ১/১১ এর চক্রান্ত হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিত্যাক্ত ভবনে তাঁকে দুই বছর রাখা হয়েছে। পরে কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হলেও চিকিৎসা দেওয়া হয় নাই। অনেকের মধ্যেই এই প্রশ্ন এসেছে, সেদিন কি বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিংয়ের কোনো ব্যবস্থা হয়েছিলো? আমরা এটা পরিষ্কার জানতে চাই। এদের (আওয়ামী লীগ) পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। যারা জোর করে আগের রাতে ভোটডাকাতি করে ক্ষমতায় থাকতে পারে। যারা অবলীলায় ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের পঙ্গু, গুলি, হত্যা এবং ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ পাঁচশো’ মানুষকে গুম করে দিতে পারে তাদের পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। এই দেশকে তাঁরা বিক্রি করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে যুবদলের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব বলেন।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ডাক্তাররা বলছেন তাঁদের সব বিদ্যা প্রায় শেষ। এর বেশি কিছু করতে পারবে না। অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনা শুনতে চায় না। তাঁর মন্ত্রী-এমপিরাও বলছেন। কেন শুনতে চাচ্ছেন না? কারণ তাঁর রয়েছে প্রতিহিংসা। আন্তর্জাতিকভাবেও চাপ আসছে বেগম জিয়া’র চিকিৎসার জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনা তাও শুনতে চাচ্ছেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজকে তাঁর জীবন নিয়ে লড়াই করছেন। আমরা কি ঘরে বসে থাকবো? আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আমরা প্রাণপন, সমস্ত শক্তি দিয়ে তাঁর জীবন রক্ষার জন্য কাজ করবো। সামনের দিনে আরও শক্তি নিয়ে নেমে আসবো। এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে যে কাল বিলম্ব না করে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় পেছনের দরজাটাও খুঁজে পাবেন না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পৃথিবীতে যা কিছু পরিবর্তন হয়েছে তা যুবকদের মাধ্যমে। প্রমাণ করে দিতে হবে এখন যারা যুবদলের সংগে আছে তারা ভয়াভহ এই দানবকে ধ্বংস করতে হবে। আমরা এমন এক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি, যাদের কাজ হচ্ছে- মানুষকে হত্যা করা। তাই কৌশলে এগুতে হবে। আমরা ভুল করলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো। 

এই সময় মির্জা ফখরুল বলেন,  বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, সড়কসহ বিভিন্ন খাত আছে, সবগুলোতে এখন দুর্নীতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশ এখন চরম ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। পুলিশ নিয়োগ হয় দলীয় পরিচয়ে। কনস্টেবল নিয়োগে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। কুমিল্লায় কাউন্সিলরকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে। এটা অশনি সংকেত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

বিভি/এনএম/রিসি 

মন্তব্য করুন: