• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বিএনপি সরকারের সময় মানুষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে ভয় পেতো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৩২, ২৫ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২২:৩৩, ২৫ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বিএনপি সরকারের সময় মানুষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে ভয় পেতো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন আওয়ামী লীগের সময় দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। আশেপাশের সব রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। বাড়ির কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আপনারা স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন এবং উপজেলা, জেলা হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজের মাধ্যমে ভালো স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।

শনিবার  (২৫ মার্চ) বিকালে গড়পাড়ার শুভ্র সেন্টারে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা এবং ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের সময় আমারা গ্রেনেড হামলা দেখেছি, দোকানে গিয়ে দেখা যেতো জামা-কাপড় নিয়ে গেছে কিন্তু কোনো টাকা-পয়সা দেয় নাই, বাজার থেকে খাদ্যে নিয়ে গেছে পয়সা দেয় নাই, পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নিয়ে গেছে পয়সা দেয় নাই। রাত্রি বেলায় ভয়ে লোকে বের হতো না,কোথায় আবার বোমাবাজি হয়।

অনুষ্ঠান করতে গেলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান,রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করতে গেলে মানুষ ভয় পেতো।ভয়ে এই অনুষ্ঠান গুলো করতে পারতো না। আমরা সেই অবস্থাতে আর ফিরে যেতে চাই না।এমন কোন লোক,সরকার বা গোষ্ঠীর হাতে এই দেশের ক্ষমতা দেওয়া যাবে না যারা এই দেশের স্বাধীনতাই চায় নাই,স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। রাজাকার আলবদর তৈরি করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে,পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে কাজ করেছে,এই ২৫শে মার্চ যারা যোগ দিয়েছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে,হাজার হাজার লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে তাদের কাছে এই দেশ নিরাপদ নয়।

যে স্লোগানের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে ‌‘জয় বাংলা’ সেই স্লোগান তারা দেয় না। সেই ‘জয় বাংলা’ তারা আজও উচ্চারণ করে না। তারা বঙ্গবন্ধুকে এখনো জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তাদের অনুষ্ঠান, ব্যানারে দেখবেন বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি নাই, শেখ হাসিনার কোনো ছবি নাই। ‘জয় বাংলার’ কোন স্লোগান নাই, এখনো জিন্দাবাদ বলে। সেই পাকিস্তানের স্লোগান জিন্দাবাদ বলে।

তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমাদের দেশের অনেক মানুষ আছে যারা সারা বছরই রোজার মত করে কাটায়। তারা ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া পায় না, এই ধরনের মানুষ অনেক আছে। এখন মানুষের আরও একটু কষ্ট আছে , কারণ আপনারা জানেন রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম একটু বেড়েছে। সরকার অনেক চেষ্টা করছে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। কিন্ত বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধে তেলের দাম বেড়েছে যার ফলে আমাদের দেশের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।

তিনি ব্যবসায়ীদের বলেন, আপনারা রোজার সময় মানুষকে কষ্ট দিবেন না। মানুষ রোজা রেখে ভালো করে ইফতার করতে পারে সেই জিনিসের দাম বা খাদ্যের দাম অযথা বাড়াবেন না। আপনারা যদিও বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখেন, লোভ-লালসা একটু কমান, লাভ একটু কম করেন তাহলে কিন্ত মানুষ রোজা রেখে ইফতার করতে পারে। এক শ্রেণির লোক আছে যারা এই রোজার সময় বেশি বেশি মুনাফা করতে চায়, সরকারের বদনাম করতে চায়, সেদিকেও আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে। ইতিমধ্যেই অনেকগুলো নির্বাচন হয়ে গেছে। সামনে এই জাতীয় নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে কিনা। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে আছে তারা ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে দেশে মৌলবাদী উত্থান হবে কিনা। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই আমরা দেখতে পারবো এই দেশের যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা প্রতিটি ক্ষেত্রে যে হচ্ছে, ব্রিজ হচ্ছে, কালভাট, বিদ্যুতায়ন হচ্ছে, আমাদের রাস্তাঘাট হচ্ছে, ফ্লাইওভার হচ্ছে, স্কুল-কলেজে ভবন হচ্ছে, হাসপাতাল হচ্ছে, ক্লিনিক হচ্ছে এই উন্নয়ন বজায় থাকবে কিনা তা এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সেই সিদ্ধান্ত আমরা পাবো। কাজেই সঠিক সময় অবশ্যই জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. গোলাম মহিউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুস সালাম,সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলার ইউএনও জোতিশ্বর পাল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক  ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ। 

এ সময় আগত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা ও পৌরসভার নেতারা সাংগঠনিক আলোচনা করেন।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: