নোয়াখালীর পুত্রবধূ যেভাবে দেশের সর্ববৃহৎ সিটির মেয়র
জায়েদা খাতুন ও জাহাঙ্গীর আলম
রান্না ঘর থেকে সোজা নগরভবনে। ৬১ বছরের জীবনে রাজনীতিতে যার বিন্দুমাত্র বিচরণ ছিল না, তিনি এখন দেশের সর্ববৃহৎ সিটি করপোরেশনের মেয়র।
বলছি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত অভিভাবক জায়েদা খাতুনের কথা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত শক্ত প্রতিদ্বন্দী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে ষাটোর্ধ্ব এই বৃদ্ধা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তবে অনেকেই বলছেন, এই সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ছায়া হয়েই নগরভবনে ঢুকতে যাচ্ছেন তিনি।
জায়েদা খাতুন যে জাহাঙ্গীর আলমের গর্ভধারীনি মা সেটা এখন দেশবাসী সবার জানা। তবে এই নারীর সম্পর্কে এর বেশি তেমন একটা জানেন না কেউই।
১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কানাইয়া এলাকায় জন্ম জায়েদা খাতুনের। নোয়াখালীর ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হলেও রয়ে গেছেন পৈত্রিক ঠিকানায়। পারিবারিক জীবনে জাহাঙ্গীর ছাড়া তার আরও এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। গত ২০১৮ সালে স্বামী হারিয়েছেন জায়েদা।
স্বশিক্ষিত গৃহিনী জায়েদার জীবনে যেমন ছিলো না রাজনীতির কোনো ছিঁটেফোটা, তেমনি নেই মামলা মোকদ্দমাও। তবে জনদরদী হিসেবে এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের গর্বিত মায়ের।
৫ যুগেরও বেশি সময় চার দেয়ালে বন্দী থাকলেও ছেলের দুঃসময়ে নেমে এসেছেন রাজপথে। বৃদ্ধ বয়সে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েই দেখিয়েছেন চমক। সেলিনা হায়াত আইভির পর দ্বিতীয় নারী মেয়র হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। এ যেন এলেন, দেখলেন এবং জয় করে নিলেন।
বলা হচ্ছে, জায়েদা খাতুন বিজয়ী হলেও গাজীপুরের অঘোষিত মেয়র থাকছেন জাহাঙ্গীরই। এই বক্তব্যে অনেকটা সাঁয় দিয়েছেন জায়েদা নিজেই। এখন দেখার বিষয় মা ছেলে মিলে কেমন চালান দেশের সর্ববৃহৎ এই সিটি করপোরেশন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: