• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

স্বাধীনতার ৫৩ বছর: যেমন বাংলাদেশ চান শিক্ষার্থীরা

তারানা তানজিনা মিতু

প্রকাশিত: ১৫:২২, ২৬ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৯:৩০, ২৬ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
স্বাধীনতার ৫৩ বছর: যেমন বাংলাদেশ চান শিক্ষার্থীরা

স্বাধীনতা আমাদের কোটি প্রাণের চাওয়া ছিল। ১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এ কাঙ্ক্ষিত চাওয়ার বাস্তবায়ন ঘটেছে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে। আজ এই স্বাধীনতার ৫৩ বছর হয়েছে। ৫৩ বছর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আমাদের স্বপ্নের কতটা পূর্ণতা দিতে পেরেছি। এ নিয়ে দেশের আগামীর কর্ণধার শিক্ষার্থীরা কী ভাবছে। স্বাধীনতা দিবসে তরুণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলেছেন তারানা তানজিনা মিতু।

স্বাধীনতা শুধুই একটা দিবস নয়। এটা আমাদের স্বাধীনভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে। পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করেছে। স্বাধীনতার চেতনায় আমাদের নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই সোনার বাংলায় মুক্তিযুদ্ধের সেই আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমার প্রত্যাশা এই আদর্শকে বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাবে বাংলার তরুণসমাজ।

শাফাকাতুল ইসলাম আলভী, ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে মেয়েদের মেধা বিকাশে থাকবে না কোনো বাধা। একটা ছেলে যেভাবে দুনিয়াকে বুঝতে শেখে বা দেখতে চাই একটা মেয়েও যাতে একই ভাবে উপলব্ধি করতে পারে। ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে যাতে কোনো ভেদাভেদ না থাকে। আর আমাদের স্বাধীনতাতো একটা বিশাল ব্যাপার। আমি মনে করি আমরা অনেক উন্নতির পথে এগোচ্ছি।

উম্মে আইমন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

স্বাধীনতা হলো বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। স্বাধীনতার চেতনা আমাদের সবসময় উজ্জীবিত করে। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নতমানের নয়, এটাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। যাতে প্রত্যেক নাগরিক সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন তা নিশ্চিত করা। তদুপরি, আমি এমন একটি দেশ চাই যা পরিবেশকে অগ্রাধিকার দেয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাজ করে। এর অর্থ নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করা এবং আমাদের কার্বন পদচিহ্ন হ্রাস করা, সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা করা।

আমির ফয়সাল, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি

আমাদেরকে স্বাধীনতার মূলনীতিগুলো ধরে রেখে এগোতে হবে। তাহলেই স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল আমরা পাব। আমার কাছে মনে হয় শিক্ষাথীদের জন্য আলাদা লোকাল বাস দরকার। যেন গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি না হয়। আর শিক্ষাক্ষেত্রে পাবলিক আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মধ্যে কোনো বৈষম্য চাই না। তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে, তৈরি হবে বিবেকবান ভবিষ্যৎ নাগরিক। আর প্রত্যেকেই যদি নিজের অবস্থান থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি তাহলেই স্বাধীনতার মূল সৌন্দর্যে সাজাতে পারব আমাদের দেশ।

তারানা তাসমিনা মিসু, ফ্যাশন ডিজাইন ও প্রযুক্তি বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বর্তমান দেশের কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সঠিক রাজনীতির চর্চা করতে পারছে না। ক্যাম্পাসে নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে মেধাবী ছাত্র নেতারা। ফলে দেশ রক্ষার কারিগরও কমে আসছে। এদিকে মনোযোগ দিতে হবে আমাদের। সর্বপরি দুর্নীতি মুক্ত একটি দেশ চাই।  

মো. ইমাম হোসেন আসিফ, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

আমি প্রথমত চাই, দেশে মানসম্মত শিক্ষা বা গুণগত শিক্ষার সুব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি বিপুল জনসংখ্যা, দারিদ্রতা, পরিবেশ দূষণ, ডিজিটাইজেশনের অভাব, সম্বনয়হীনতা এবং বেকারত্বের মতো অভিশাপসহ এমন সব সমস্যার সমাধান করে একটি সোনার বাংলাদেশ দেখতে চাই। যেখানে থাকবেনা কোনো ভেদাভেদ। সব জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং সকল শ্রেণির মানুষকে নিয়েই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাই।

মুশফিকা চৌধুরী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি


লেখক : শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।  

মন্তব্য করুন: