আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: মায়ের কোল আলোকিত করে দুনিয়াতে আসেন।বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারি রহমাতুল্লিল আলামিন সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও ওফাত দিবস বলে চিহ্নিত করা হয়।
মক্কার কুরাইশ গোত্রের সাধারণ পরিবারে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: এর জন্ম হয়। অল্প বয়সেই তিনি সত্যবাদিতা ও সততার প্রতীক হয়ে ওঠেন। তাঁর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন।
বাংলাদেশে দিনটি সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী সা:-এর জীবনী আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত হন। ক্ষমাশীলতা, দানশীলতা ও সহিষ্ণুতায় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবে পরিণত হন। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। ২৩ বছর ইসলামের বার্তা প্রচার করেন। শুধু আধ্যাত্মিক শিক্ষা নয়; মদিনায় কল্যাণরাষ্ট্রও প্রতিষ্ঠা করেন।
রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ তারিখেই ৬৩ বছর বয়সে তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। এ জন্য এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন।
সারাবিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এবং সিরাতুন্নবী (সা.) নামে পালন করেন। নফল নামাজ আদায় ও রোজা রাখেন অনেকে। এ ছাড়াও কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: