• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সাপোজিটরি ও ইনসুলিন ব্যবহারে রোজা ভাঙবে কি?

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ২০ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
সাপোজিটরি ও ইনসুলিন ব্যবহারে রোজা ভাঙবে কি?

অসুস্থ অবস্থায় রোজা রাখা, ওষুধপত্র খাওয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় দেখা দেয়। অসুস্থ অবস্থায় রোজা রেখে ওষুধ গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্বের ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন।

রোজা থাকাবস্থায় বেশ কয়েকটি পন্থায় ওষুধ সেবন ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে রোজা নষ্ট হবে না বলে সমসাময়িক ইসলামিক স্কলাররা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

কারো জ্বর, ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্য জটিল পর্যায়ে চলে গেলে এবং এ কারণে যদি কোনোভাবেই মুখে ওষুধ খাওয়ানো সম্ভব না হয় অথবা রোগী অচেতন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শে সাপোজিটর প্রয়োগ করা হয়। এদিকে ডায়াবেটিসের রোগীদের সুগার নিয়ন্ত্রণে নিতে হয় ইনসুলেন। প্রশ্ন হলো রোজাদারদের ক্ষেত্রে সাপোজিটরি ও ইনসুলিন ব্যবহারে করণীয় কী? এর ব্যবহারে রোজা ভঙ্গ হয় কি?

পায়ুপথে সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। মূলত পায়ুপথের আশপাশে রক্তনালি বেশি থাকে। ফলে সাপোজিটরি দ্রুত রক্তে মিশে কাজ করতে পারে এবং জ্বর বা ব্যথা দ্রুত কমাতে পারে। রোজা রেখে সাপোজিটর ব্যবহারের কারণে রোজা ভঙ্গ হবে কি না তা নিয়ে আলেমদের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে অগ্রগণ্য মত হলো রোজা ভেঙে যাবে।

হাদিস শরিফে এসেছে, ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘কোনো কিছু প্রবেশের দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়। বের হওয়ার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয় না।’)সহিহ বুখারি, ১/২৬০) তবে এর কারণে শুধু রোজার কাজা ওয়াজিব হয়। কাফফারা করতে হয় না।

ইনসুলিন নেওয়া

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া অন্য যেকোনো কারণে ইনজেকশন নিলে রোজা নষ্ট হবে না। চাই তা মাংসে নেওয়া হোক বা রগে। কারণ ইনজেকশনের সাহায্যে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশকৃত ওষুধ মাংস বা রগের মাধ্যমেই প্রবেশ করানো হয়ে থাকে, যা অস্বাভাবিক প্রবেশপথ, তাই এটি রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ নয়।

(ইবনে আবিদিন, খ. ২, পৃ. ৩৯৫; (খ) ইবনু নুজাইম, খ. ২, পৃ. ২৭৮; (গ) আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল, খ. ৩, পৃ. ২১৪)

তাই বলা যায়, ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙবে না। কারণ ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না।

(ইবনে আবিদিন, খ. ৩, পৃ. ৩৬৭; (খ) ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান, পৃ. ৩২৭)

এক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো— রোজা ভঙের কারণ হচ্ছে, স্বাভাবিক প্রবেশপথ দিয়ে পেটে বা মস্তিষ্কে কোনও কিছু প্রবেশ করানো। মলদ্বার এক্ষেত্রে স্বাভাবিক পথের অন্তর্ভুক্ত। এর মাধ্যমে শরীরের ভেতর ওষুধ প্রবেশ করানো হলে রোজা ভেঙে যাবে।

মনে রাখতে হবে, রমজানের রোজার উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া (আল্লাহভীরুতা) অবলম্বন করতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত, ১৮৩)

পানাহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি প্রবৃত্তির তাড়না নিয়ন্ত্রণ করা রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য। রোজার পূর্ণতা অর্জন করতে অহেতুক কথা-কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। একইসঙ্গে রোজা ভঙ্গকারী বিষয়গুলো থেকে দূর থাকতে হবে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: