ঈদের দিনে করণীয়
প্রতীকী ছবি
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস রোজা পালনের পর আসে ঈদ। এই খুশির দিনটি সকল মুসলমানদের জন্য বড় নিয়ামতের।
রোজা যেমন আল্লাহর বিধান তেমনি রোজাদারের জন্য ঈদের বিধানও আল্লাহর পক্ষ থেকে উপহার। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য ঈদ উৎসবের করণীয় নির্ধারণ করেছেন। ঈদের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে পরবর্তী সব কাজেই রয়েছে দিকনির্দেশনা।
ঈদের দিন আনন্দ উল্লাসে কেটে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এর মাঝেও বেশকিছু কাজ রয়েছে যা আপনার দিনটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবে। সারা মাসের সিয়াম সাধনাকে করবে পরিপূর্ণ।
ঈদের সকালে নবীজি (সা.) কিছু আমল করতেন। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। ঈদের দিন সর্বোত্তম পোশাক পরতেন। হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) দুই ঈদের দিনে সর্বোত্তম পোশাক পরতেন।
ঈদুল ফিতরের মাঠের নামাজ আদায়ে যাওয়ার আগে মিষ্টি খাবার গ্রহণ করা। এরপর হেঁটে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া বা তাকবির পড়তে পড়তে যাওয়া সুন্নত। হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত, ‘হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নত’।
ঈদের নামাজের আগেই ফিতরা দেওয়া উত্তম। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঈদগাহে পৌঁছা পর্যন্ত ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ তাকবির পাঠ করা সুন্নত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত, রাসুল সা. ঈদুল ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হয়ে তাকবির পাঠ করতে করতে ঈদগাহে যেতেন।
ঈদের দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঈদের নামাজ আদায় করা। এটি ওয়াজিব। নবী করিম (সা.) এ দিনে বের হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছেন। এর পূর্বে ও পরে অন্য কোনো নামাজ আদায় করেননি।’ ঈদের নামাজের পর খুতবা শোনা ওয়াজিব।
মসজিদ বা ঈদগাহের দিকে এক পথে গিয়ে অন্য পথে ফিরে আসা সুন্নত। হজরত জাবের (রা.) বলেছেন, নবী করিম (সা.) ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন। এরপর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা। আশপাশের সবার খোঁজ নেওয়া। ঈদে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানো শরিয়ত অনুমোদিত একটি বিষয়।
ঈদের আনন্দ শুধু নিজের ও পরিবারের জন্য নয়। প্রতিবেশি,আত্মীয়-স্বজন ও গরীব-দুখীদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করলেই আমাদের ঈদ হয়ে উঠবে সত্যিকারের আনন্দময়।
মন্তব্য করুন: