• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

যেসব মানুষ শরিকে থাকলে কারোরই কুরবানি হবে না

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৩ জুন ২০২৪

ফন্ট সাইজ
যেসব মানুষ শরিকে থাকলে কারোরই কুরবানি হবে না

আর মাত্র কদিন পরই মুসলিম উম্মাহ শুরু করতে যাচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। যে আনুষ্ঠানিকতার মাঝে রয়েছে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব কুরবানি ঈদ। ইসলামি শরিয়তে কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কুরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ঈদের নামাজের পর মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাধ্যমত পশু কুরবানি করে তা গরিব-দুঃখীদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়া কুরবানির বিধান।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কুরবানি করেছেন। তিনি কখনও কুরবানি পরিত্যাগ করেননি; বরং কুরবানি পরিত্যাগকারীদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমার আমার ঈদগাহে না আসে।’

মুসলিম সমাজে কুরবানিতে অন্যকে শরিক করার প্রচলন রয়েছে। উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানি করা জায়েজ। (মুসলিম: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)। উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। (মুআত্তা মালেক: ৭৫৪)

তবে কুরবানিতে কাউকে শরিক করার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয় হলো অংশীদার নির্বাচন করতে প্রত্যেককে ভালোভাবে জেনে-বুঝে নিতে হবে। কারণ শরিকের কারও নিয়ত গলদ হলে কারও কুরবানিই (অন্য শরিকদের কারও কুরবানি) শুদ্ধ হবে না।

এ বিষয়ে ফতোয়ার কিতাবগুলোতে বলা হয়েছে, যদি কেউ আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানি না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে তাহলে তার কুরবানি সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরিকদের কারো কুরবানি হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে শরিক নির্বাচন করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৮, কাজিখান: ৩/৩৪৯)

আরেকটি বিষয় হলো- হারাম আয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কেউ কুরবানি করলে তার কুরবানি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কেননা ‘আল্লাহ তাআলা পবিত্র; শুধুমাত্র পবিত্রটাই তিনি গ্রহণ করেন...।’ (তিরমিজি: ২৯৮৯) পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা ব্যয় কর তোমাদের অর্জিত হালাল সম্পদ থেকে।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৎ পথে থেকে অল্প হলেও ভালো ও নেক আমল করার তাওফিক দান করুক। এবং দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুক আমিন।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: