• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জুমার খুতবা শোনার ফজিলত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২২, ২৫ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
জুমার খুতবা শোনার ফজিলত

মহানবী (সা.)-এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর কুবার মসজিদে প্রথম জুমার নামাজ আদায় করা হয়। এতে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেই ইমামতি করেন। এদিন জুমার নামাজের আগে তিনি দুটি খুতবা প্রদান করেন। তখন থেকেই শুক্রবারে জুমার নামাজের জামাতের আগে দুটি খুতবা প্রদানের প্রথা প্রচলিত হয়। 

খুতবা আরবি শব্দ এর অর্থ বক্তৃতা করা বা ভাষণ দেওয়া। জুমার নামাজের আগে খুতবা পাঠ নামাজেরই অংশবিশেষ। খুতবা পাঠের আগে ইমাম সাহেবরা মাতৃভাষায় খুতবার মূল বক্তব্যটুকু বলে দেন। তবে ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায় খুতবা বলা হয় এমন বক্তৃতা, যাতে আল্লাহর প্রশংসা, তার একত্মবাদের ঘোষণা, প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি দরুদ এবং উপস্থিত সাধারণের প্রতি উপদেশ বিদ্যমান থাকে।

জুমার দিন জুমার নামাজে খতীবের খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবা চলাকালীন মুসল্লিদের জন্য কথাবার্তা বলা নিষেধ। নিচের হাদিসটি লক্ষ্য করলে আমরা জুমার খুতবার ফজিলত সম্পর্কে ধারণা পাই-

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করল, এরপর জুমায় গেল, নির্ধারিত সালাত আদায় করল, মন দিয়ে খুতবা শেষ পর্যন্ত শুনলো, এরপর ইমামের সঙ্গে সালাত আদায় করল, তার সেই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং আরো তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ (বুখারী, মুসলিম)

খুতবা জুমার নামাজের শর্ত বা ফরজ। খুতবা ব্যতীত জুমার নামাজ হয় না। উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব। তাই খুতবা চলাকালে নিরর্থক কাজে মশগুল থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন খুতবা প্রদানের সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে বলো, ‘চুপ করো’ তখন তুমি অনর্থক কথাই বললে। (বোখারী)

বর্ণিত হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব এবং কথাবার্তা বলা হারাম। অনুরূপ খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়। অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না, কথাও বলবে না। (মেশকাত)

তাই মুসল্লিদের উচিত খুতবার সময় কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে অত্যন্ত মনোযোগী হয়ে খুতবা শ্রবণ করা এবং যেসব কাজ নামাজে নিষিদ্ধ তা থেকে বিরত থাকা। ফিকাহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ‘ফাতাওয়ায়ে শামী’তে একটি মূলনীতি উল্লেখ হয়েছে, যেসব কর্ম নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। যেমন- কথাবার্তা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি। (ফাতাওয়ায়ে শামি)

যারা খুতবা শুরু হওয়ার পরে এসে তাড়াহুড়া করে সামনে আসতে চেষ্টা করে, হাদিস শরিফে তাদের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। ইমাম তিরমিজী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি জুমার জামাতে পরে এসে লোকজনের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে স্থান নিতে চেষ্টা করে সে যেন নিজের জন্য জাহান্নামে যাওয়ার একটি সেতু নির্মাণ করলো।

ইমাম আহমদ (র.) বর্ণনা করেন যে, একদা রাসূল (সা.) জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন, এ সময় এক ব্যক্তিকে উপবিষ্ট লোকদের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে দেখে অত্যন্ত বিরক্তির সঙ্গে বললেন, ওহে! বসে পড়, দেরিতে এসেছো এবং অন্যদের কষ্ট দিচ্ছো।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2