• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রাসুল (সা.) এর নির্দেশ অমান্য করে ঘুমাচ্ছেন না তো?

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২৫ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
রাসুল (সা.) এর নির্দেশ অমান্য করে ঘুমাচ্ছেন না তো?

দিন শেষে পরিশ্রান্ত দেহ একটু বিশ্রাম চায়। চায় একটু শান্তির ঘুম। আর এই ঘুমকে বান্দার জন্য নিয়ামত হিসেবে পাঠিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। বান্দার পক্ষে আল্লাহর নিয়ামতের গুণগান করে শেষ করা সম্ভব না। তবে তারা বিধি-নিষেধ মেনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা জরুরি।

মানুষের মধ্যে যারা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন তারাই কেবল জানেন এটা কত মূল্যবান নিয়ামত। ইসলামে সবকিছুর সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। ঘুমানোর জন্যও মুসলিমদের রয়েছে বেশ কিছু বিধি নিষেধ। 

অনেকেই উপুড় হয়ে ঘুমাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। কিন্তু ইসলামে এই অভ্যাসটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উপুড় হয়ে শোয়া সাময়িক আরামদায়ক মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। রাসুল (সা.) এভাবে শুতে নিষেধ করেছেন।

হাদিস শরিফে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক. মহান আল্লাহ এভাবে শোয়া পছন্দ করেন না। দুই. এটি জাহান্নামিদের শোয়া। জাহান্নামিদের উপুড় করেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

ইবনে তিখফা আল-গিফারি (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা তাঁকে অবহিত করেন যে তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। তিনি বলেন, একদা শেষ রাতে আমি মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমি উপুড় হয়ে ঘুমে বিভোর অবস্থায় একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন। তিনি আমাকে তাঁর পায়ের সাহায্যে নাড়া দিয়ে বলেন, ওঠো! এই উপুড় হয়ে শুলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। আমি মাথা তুলে দেখি যে রাসুল (সা.) আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে। (আদবুল মুফরাদ, হাদিস : ১১৯৯)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু জর (রা.) বলেন, আমি উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি আমাকে তাঁর পা দ্বারা খোঁচা মেরে বলেন, হে জুনাইদিব! এটা তো জাহান্নামের শয়ন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৭২৪)

রাসুল (সা.)-এর বাণী—‘এটা তো জাহান্নামের শয়ন’—এর পক্ষে পবিত্র কুরআনের আয়াতও পাওয়া যায়। পবিত্র কুরআনে জাহান্নামিদের প্রতি ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন তাদের উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে; সেদিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন করো। ’ (সুরা : কমার, আয়াত : ৪৮)।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: