• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

নখ বড় রাখা নিয়ে শরীয়তের বিধানে যা রয়েছে

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
নখ বড় রাখা নিয়ে শরীয়তের বিধানে যা রয়েছে

হাল আমলের ফ্যাশনে নখ বড় রাখার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণীদের হাতের নখ বড় দেখা যাচ্ছে সর্বত্রই। অনেকে শখের বসেও নখ বড় রাখছেন। তবে এই কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্দনীয়।

ইসলামী আইন ও ফিকাহ শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা একে নাজায়েজ বলে থাকেন। আলেমরা বলেন, হাত-পায়ের নখ কাটা প্রকৃতিগত সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ফিতরাত (নবীদের পন্থা) হলো পাঁচটি বিষয়: খৎনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ খাটো করা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৯২)

আরেক হাদিসে এসেছে, ফিতরাত বা নবীদের পন্থা দশটি: এর মধ্যে নখ কাটাও রয়েছে। এজন্য ইসলাম মানুষের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম ও নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে মাকরূহ তাহরিমি বা গুনাহর কাজ বলেছে।

হজরত আনাস (রা.) বলেন, গোঁফ ছোট রাখা, নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা ও নাভীর নিচের লোম মুণ্ডিয়ে ফেলার জন্য আমাদের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল; যেন আমরা এক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের বেশি দেরি না করি। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮)

প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম নববী (রহ.) এ সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, নখ কাটা সবার মতে সুন্নাত। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের উভয় হাত-পা সমান পর্যায়ের।

এছাড়া আবু ওয়াসিল বলেন, আমি আবু আইয়ুব (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলাম। মুসাফাহার সময় তিনি আমার নখ বড় দেখে বললেন, নবী (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ কেউ আসমানের খবর জিজ্ঞাসা করো, অথচ তার হাতের নখগুলো পাখির নখের মতো, যাতে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকে! (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৩০১১)

আবার খুলাসাতুল ফাতাওয়া বইয়ের ১তম খণ্ডের ২২ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, নখ বড় হওয়ার দরুন কোনো কারণে যদি নখের গোড়ায় পানি না পৌঁছে, তাহলে অজু শুদ্ধ হয় না।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: