• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন মেয়েকে বিয়ে করলে সুখী হওয়া যায়?

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৬:৩০, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন মেয়েকে বিয়ে করলে সুখী হওয়া যায়?

একজন ছেলে কেমন মেয়ে বিয়ে করলে সুখী হবে, সে সম্পর্কে হাদিস শরীফে রাসুল (ﷺ) উপদেশ দিয়েছেন-বিয়ের পূর্বে উপদেশ গুলি পালন করে, বিয়ে করলে ইনশাল্লাহ সংসার সুখের হবে ।

এ মর্মে ইমাম বোখারী (রহঃ) হযরত আবু হুরায়রা রাযি. সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন-
تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ 
চারটি বিষয় দেখে মেয়েকে বিয়ে করা উত্তম।

১. لِمَالِهَا (তার সম্পদ দেখে)
সম্পদ এবং স্বচ্ছলতা দেখা।
মেয়ের পরিবারের স্বচ্ছলতার প্রতি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে । যাতে কোন অর্থনৈতিক সংকটে সহযোগিতা পাওয়া যায়। তবে সম্পদের বিষয়ে ছেলে ও মেয়ে উভয় যেন কাছাকাছি বা সমান হয় সেদিকে খেয়াল রাখা । না হলে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে । তবে কোনভাবেই যেন মেয়ে পক্ষের কাছে কিছু দাবি না করা হয়, মেয়ের বাবার কাছে যৌতুক দাবি করা সম্পূর্ণরূপে হারাম । তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু দেয় তাহলে তা নেওয়া জায়েজ হবে ।

২. وَلِحَسَبِهَا (এবং তার বংশ দেখে)
বংশ দেখে বিয়ে করা। 
জাত-বংশ ভালো, সম্মানিত পরিবার,সাধারণত এমন পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া উত্তম।

৩. وَلِجَمَالِهَا(এবং তার রূপ-লাবন্য দেখে)
রূপ-লাবন্য দেখা।
যদিও বর্তমান যুগে এটাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় । মানুষ রূপ দেখে পাগল হয়ে অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য করে না । এতে বেশি সমস্যার মুখে পড়ে । মনে রাখতে হবে সংসার জীবনে সুখি না হতে পারলে সেই রূপ কোন কাজে আসবে না ।

৪.وَلِدِينِهَا (এবং তার দ্বীনদারি দেখে)
দ্বীনদারি দেখে বিয়ে করা।
অর্থাৎ – ইসলাম ধর্মের প্রতি মেয়েটি কতটা আগ্রহী, ইসলামকে তার জীবনে কতটা বাস্তবায়ন করেছে । এবং কুরআন ও নামাজ পড়তে জানে কিনা সেটাও দেখা উচিত । তবে সমাজে কিছু মেয়ে আছে যারা কোরআন পড়তে জানে, নামাজ পড়তে জানে কিন্তু খুব মনোযোগ দিয়ে নিয়মিত ধর্মীয় কাজ করে না । যদি বংশ ভালো হয় তাহলে এই মেয়েগুলি বিয়ের পর ঠিক হয়ে যায় । তাই মোটামুটি ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান থাকলেও সে মেয়েকে বিয়ে করতে কোন সমস্যা নেই ।

তবে অন্যান্য দিক গুলো যদি তুলনামূলক একটু খারাপও হয় আর মেয়েটি ধার্মিক হয় । তাহলে নিঃসন্দেহে সেই মেয়েটিকে স্ত্রী রূপে গ্রহণ করা যাবে ।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ
সুতরাং তুমি দ্বীনদারী কেই প্রাধান্য দিবে নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে । বোখারী (৫০৯০)

এই চারটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দ্বীনদারীকেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে তারপর বাকিগুলো দেখতে হবে । যৌবন সারা জীবন ধরে রাখ যায় না। তাই এসবের ওপর আত্মীয়তার ভিত গড়ে তোলা যায় না। এজন্য নেককার ও দীনদার স্ত্রী মৃত্যুর আগে পর্যন্ত স্বামীকে সুখে রাখে। রূপবতী স্ত্রীকে দেখলে স্বামীর চোখ খুশিতে হয়ত নেচে ওঠে। পক্ষান্তরে গুনবতী স্ত্রীকে দেখলে স্বামীর অন্তর প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। চোখের আনন্দ আর অন্তরের প্রশান্তি এক নয়। সুতরাং চোখ নয়, বরং অন্তর খুশি করুন। আর যদি রুপা ও গুণ দুটো একসঙ্গে পাওয়া যায় তাহলে তো আরও বেশি ভালো ।

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: