• NEWS PORTAL

মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগে নগর পরিকল্পনাবিদদের আপত্তি

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৬:৪৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগে নগর পরিকল্পনাবিদদের আপত্তি

ঢাকা মহানগরীর জন্য প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রণয়নের পর বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহল বারবারই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার উপর চাপ  প্রয়োগ করেছে। ফলে ড্যাপের কার্যকর বাস্তবায়ন ক্রমাগত বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, যা বাসযোগ্য ও টেকসই ঢাকা গড়বার অন্তরায়। 

সাম্প্রতিক ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ এরই ধারাবাহিকতা মাত্র। বাস্তবিকই ড্যাপকে বাসযোগ্য ঢাকা গড়বার প্রধান পরিকল্পনা দলিল হিসবে কার্যকর করতে গেলে পরিবর্তনশীল আর্থ-সামাজিক-পরিকল্পনাগত বাস্তবতায় যদি কোন পরিমার্জন ও সংশোধন করবার প্রয়োজন হয়, তার জন্য  পেশাজীবি ও অংশীজনদের যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করবার মাধ্যমে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, যার কোন বিকল্প নেই। এর অন্যথা হলে এ ধরনের সংশোধন ন্যায্যতা হারাবে; রাষ্ট্র ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা  প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং সর্বোপরি বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই ও বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়বার অংগীকার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। বিদ্যমান বাস্তবতায় ড্যাপ সংশোধনের উদ্যোগ অনতিবিলম্বে বন্ধ করে দিয়ে পেশাজীবিদের সম্পৃক্ত করবার মাধ্যমে সংশোধন প্রস্তাবনাসমূহের পরিকল্পনাগত প্রভাব বিশ্লেষণপূর্বক যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  অনলাইনে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) কর্তৃক আয়োজিত "ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধনের উদ্যোগ: আইপিডি'র পর্যবেক্ষণ" শীর্ষক  অনুষ্ঠানে এই মতামত উঠে আসে। আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ আইপিডির পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণসমূহ তুলে ধরেন। 

অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, যে কোনো পরিকল্পনার সফলতা কিংবা ব্যর্থতা নির্ভর করে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্র ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিক সদিচ্ছা, যথাযথ প্রয়োগ, প্রয়োজনীয় অর্থায়ন, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ, আইনের শাসন ও জনস্বার্থ-জনকল্যাণ রক্ষায় পরিকল্পনা এবং নীতি-নির্দেশনার নির্মোহ ও যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর। ইতিপূর্বে প্রণীত ঢাকা মহানগরীর জন্য কাঠামোগত পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা কিংবা ড্যাপ দলিলগুলো সঠিক ও পূর্ণ বাস্তবায়নের অভাবেই ঢাকা ক্রমান্বয়ে বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। 

ড্যাপ এর জনঘনত্ব জোনিং নিয়ে প্রথম থেকেই রাজউক প্রভাবশালী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট  মহলের পক্ষে ছাড় দিয়ে এসেছে। খসড়া ড্যাপে প্রস্তাবিত এলাকাভিত্তিক উচ্চতা জোনিং থেকে এফএআর (ফার) পদ্ধতি গ্রহণ, পরবর্তীতে এফএআর এর মান বৃদ্ধি - সবক্ষেত্রেই আপোষকামিতার পরিচয় দেয়া হচ্ছে। ড্যাপে বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে "জনঘনত্ব পরিকল্পনা" শুধু নয়, বলা হয়েছে 'উন্নয়ন প্রাবল্য ব্যবস্থাপনা'র কথা; যে বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। ইমারত নকশা ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কতিপয়  পেশাজীবীদের আচরণ টেকসই নির্মিত পরিবেশ ও বাসযোগ্য শহর গড়বার প্রচেষ্টার সাথে সাংঘর্ষিক। ড্যাপের সংশোধনী ভবনের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অবাধ প্রবাহ ব্যাহত করে জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্যকে আরো বিপর্যয়ে ফেলবে। 

আইপিডির পক্ষ থেকে উদাহরণস্বরুপ বলা হয়, আদর্শ নগর পরিকল্পনায় ১২ ফুট সড়কের পাশে একতলা বাড়ি হতে পারে। ১৯৯৬ এর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ১২ ফুটের পাশে তিনতলা করা যায়, যা ঢাকা শহরের জন্য ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। অথচ এখন ড্যাপের প্রস্তাবিত সংশোধন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী নতুন এফএআর প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ১২ ফুট রাস্তার যদি দুইপাশে ৮ তলা ভবনের সারি সারি ইমারত তৈরি হয়, তখন যানজটসহ সেই এলাকার বাসযোগ্যতা কেমন হবে, ভবনের ভেতর আলো বাতাস কেমন প্রবেশ করবে, জনস্বাস্থ্য কেমন হবে - তা সহজেই অনুমানযোগ্য। অনুরূপভাবে ১০ লাখ জনসংখ্যার জন্য ডিজাইন করা প্লটভিত্তিক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ড্যাপে প্রস্তাবিত এফএআর মান অনুযায়ী ২৫-৩০ লাখ লোক বসবাস করবার ফলে পূর্বাচল ভেংগে পড়বার উপক্রম হবে- বিষয়টি নীতি নির্ধারকদের ভেবে দেখবার আহবান জানিয়েছে আইপিডি। 

আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, ড্যাপে এফএআর ও উচ্চতা বিষয়ক আলোচনার আড়ালে ড্যাপে জলাধার - জলাশয় সংরক্ষণ, মিশ্র ভূমি ব্যবহারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ, খেলার মাঠ- পার্ক- গণ পরিসর তৈরি করবার কর্মকৌশল ও কর্মপন্থা নির্ধারণ, অবৈধ ভূমিশ্রেণিতে অনুমোদনহীন আবাসিক ভবন ও প্রকল্পের বৈধতা প্রদানের প্রক্রিয়া, অনুমোদনহীন জায়গায় স্থাপিত শিল্প কারখানা প্রতিস্থাপন - প্রভৃতি বিষয়গুলো নিয়ে নীতি নির্ধারনী মহলে তেমন কোন আলোচনা হয়নি। ড্যাপের যথাযথ ও পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তথা রাজউক ও মন্ত্রণালয়ের অনেকেরই আন্তরিক আগ্রহের অভাব ছিল। ড্যাপ বাস্তবায়নে এবং অনুমোদিত ড্যাপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ইমারত নির্মাণ অনুমোদনে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে কর্মরত অনেকেরই অনীহা,  যারা ভবন নির্মাণ ও তদারকি প্রক্রিয়ায় বিভিন্নভাবে সুবিধাভোগী। 

বিপরীতে ড্যাপ নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল সবসময়ই অপপ্রচারণা চালিয়েছে। ড্যাপ অচিরেই সংশোধন করা হবে, এই বার্তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে ভবন নির্মানে আগ্রহী ভবন মালিকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ইমারত নকশা ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অনেক পেশাজীবি নতুন ড্যাপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ভবন নকশায় আগ্রহী না হয়ে ভবন মালিকদের ভিন্ন বার্তা দেবার চেষ্টা করেছেন।

আইপিডি বলছে, ড্যাপের এফএআর সংশ্লিষ্ট বিষয়টি প্লট মালিক ও আবাসন ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক লাভ ও মুনাফার সাথে সংশ্লিষ্ট বিধায় এফএআর বাড়ানোতে তাদের আগ্রহ আছে। অথচ সাধারণ মানুষ ড্যাপের প্রস্তাবিত জনঘনত্ব ও ভবনের উচ্চতা বিষয়ক প্রস্তাবনায় সমর্থন করছে, যা শহরের বাসযোগ্যতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে, দেশের অন্যতম প্রধান দৈনিক ইতিপূর্বে "ড্যাপের প্রস্তাবিত জনঘনত্ব ও ভবনের উচ্চতা বিষয়ক প্রস্তাবনা" নিয়ে অনলাইন জরিপ করেছিল যেখানে প্রায় ৭০ ভাগ জনগণ ড্যাপের প্রস্তাবনাকে সমর্থন দিয়েছিল। অথচ বিভিন্ন সময়ে ড্যাপের জনঘনত্ব সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল সরকারকে সবসময় এই নেতিবাচক ও অসত্য প্রচারণা চালিয়ে এসেছে যে, এই প্রস্তাবনা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে অনাগ্রহী। 

যার ফলে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়ন এর সাথে সাথেই বারংবার স্বার্থান্বেষী মহলের বাধার কারণে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হতে পারছে না। গত দুটি বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়ন এর পরপরই রিভিউ কমিটি গড়ে ড্যাপ বাস্তবায়নের মূল শক্তিটাই নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সরকার উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাবশালী মহলের কাছে সামগ্রিক জনস্বার্থ, শহরের বাসযোগ্যতাকে ছাড় দিয়েছে। অনুরূপভাবে বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা ২০০৪ এর সংশোধনে (২০১২ ও  ২০১৫ সালে করা) আবাসন ব্যবসায়ীদের চাপে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে নাগরিক সুবিধাদির মানদণ্ড বা স্ট্যান্ডার্ড অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে। 

আইপিডির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ড্যাপ সংশোধন প্রস্তাবনাতে প্রস্তাবিত সড়কের জন্য ছেড়ে দেয়া ভূমি স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা সহ অল্প কিছু ভাল প্রস্তাবনা ছিল; কিন্তু প্রস্তাবিত সংশোধনীর মূখ্য প্রয়াস ছিল ড্যাপে প্রদত্ত 'এফএআর' ও 'ডুয়েলিং ইউনিট' এর মান বাড়ানো, যার মাধ্যমে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বেড়ে বাসযোগ্যতার তলানিতে থাকা ঢাকা মহানগরীর বাসযোগ্যতা আরও কমবে।  উপরন্তু ড্যাপ রিভিউ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বরাবর উপস্থাপনের জন্য গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপ এর সাথে কোন ধরনের আলোচনা ব্যতিরেকে এই ধরনের ড্যাপ সংশোধনীর উদ্যোগ এর কোন ধরনের ন্যায্যতা নেই। 

আইপিডি আরো বলেছে, নগর পরিকল্পনায় আবাসিক ভবনের উচ্চতা ও আয়তন নগর এলাকা কিংবা জনবসতির বাসযোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত। নগর পরিকল্পনার কৌশল অনুযায়ী, নগর এলাকার ধরন, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, নির্দিষ্ট এলাকার জন্য প্রক্ষেপিত জনসংখ্যা, সড়কের প্রশস্ততা, নির্দিষ্ট এলাকার পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, খেলার মাঠ, পার্ক, খোলা জায়গা এবং জলাশয়ের উপস্থিতি, সামাজিক অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধার মতো বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়েই আবাসিক এলাকার ভবনের উচ্চতা ও আয়তন নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী, শহর পরিকল্পনার সামগ্রিক বিষয়াদি বিবেচনায় না নিয়ে  ভবনের উচ্চতা ও আয়তন নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রধানত রাস্তার প্রশস্ততা ও প্লটের আকার বিবেচনায় নেওয়া হয়, যা অপ্রতুল নাগরিক সুবিধাদির সাথে সাথে নগরের বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দিচ্ছে। এই দৃষ্টিভংগি ও পরিকল্পনা কৌশলের পরিবর্তন প্রয়োজন। 

বিদ্যমান প্রেক্ষিতে ড্যাপের প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং কার্যকর  বাস্তবায়নে আইপিডি'র পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবনাগুলো হলো: 

- ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) এর সংশোধন এর বিদ্যমান উদ্যোগ অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
- ড্যাপ রিভিউ করবার ক্ষেত্রে কেবল স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহলের নয়, বরং সকল অংশীজনদের সুবিবেচনাপ্রসূত ও কার্যকর পরামর্শ বিবেচনায় নিতে হবে।
- ড্যাপ রিভিউ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বরাবর উপস্থাপনের জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ এর সাথে যথাযথ আলোচনার মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও প্রয়োজনীয় সংশোধন এর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- ড্যাপ এর কার্যকর বাস্তবায়নের অন্তরায় ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও মহলকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- ড্যাপের পরিমার্জন ও সংশোধনের উদ্যোগ শুধুমাত্র 'এফ এ আর' এর মান বাড়ানো বা জনঘনত্ব পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট বিষয় না চিন্তা করে সামগ্রিকভাবে যে বিষয়গুলো টেকসই শহর ও জনবসতি গড়বার সাথে, সেই সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই অংশীজনদের সাথে আলোচনা করতে হবে, স্বার্থের সংঘাত আছে এমন পরামর্শের বিষয়ে রাষ্ট্রকে যথাযথ বিবেচনা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
- ড্যাপের যে কোন নীতি প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় সংশোধন আধুনিক নগর পরিকল্পনার ধারনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
- ড্যাপের যে কোন ধরনের সংশোধন এ সামগ্রিক জনস্বার্থ, জনস্বাস্থ্য,  শহরের বাসযোগ্যতা ও টেকসই পরিবেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

আইপিডি পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলনে আইপিডি পরিচালক মো আরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরহাদুর রেজা প্রমুখ। 

বিভি/কেএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত