কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনা: ৪ রেলকর্মী বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুতে গত রাতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কারণে 'কর্তব্যে অবহেলার' অভিযোগে চার কর্মীকে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব অঞ্চল) চট্টগ্রামের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবদুর রহমান জানান, বরখাস্তকৃত কর্মীরা হলেন- কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড সোহেল রানা, লোকোমাস্টার গোলাম রসুল, সহকারী লোকোমাস্টার আমিন উল্লাহ এবং সেতুর গেটকিপার মো. মাহবুব।
এ ছাড়া, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে কালুরঘাট সেতুতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়।
নিহত শিশু আয়েশার বাবা সাজ্জাদুন নূর জানান, ঈদ উপলক্ষে পরিবারসহ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডি গ্রামে যাওয়ার পথে সেতুর মাঝখানে সামনের একটি গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় তাদের অটোরিকশাটি সামনের দিকে যেতে পারেনি। তিনি বলেন, 'ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে তা ভেঙে যায়, আমার মেয়েটা মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, আমার স্ত্রীও আহত হয়েছে।'
নূর বলেন, ট্রেনটি সেতুর গেটে দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিল গেটকিপারের সবুজ সংকেত পাওয়ার জন্য, কিন্তু সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা না করেই এটি সেতুর ওপর দিয়ে যায় এবং দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, 'আমি ন্যায়বিচার চাই, আমার নিষ্পাপ শিশুটির কি দোষ ছিল? দুই বছর বয়সে কেন তাকে মারা যেতে হলো?'
রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবদুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ওই রুটে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে।
নিহত এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিভি/টিটি




মন্তব্য করুন: