• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৫:১৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৭:৫০, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

যুবদল নেতা ছেলেকে বাসায় না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। 

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীর টিপু সুলতান রোডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত এই ব্যক্তির নাম মিল্লাত (৬৮)। নিহতের ছেলে ফয়সাল মাহাবুব মিজু ওয়ারী থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। 

মিজুর অভিযোগ, 'বুধবার রাত আনুমানিক সোয়া ১২টার দিকে ওয়ারী এলাকার আওয়ামী লীগ-যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্রসহ টিপু সুলতান রোডের গোপী মোহন লেনে আমার বাসায় আমাকে খুঁজতে যায়। বাসায় আমার বাবা গেট খুলতেই শত শত মানুষ আমার ঘরে ঢুকে তল্লাশী শুরু করে। অবস্থা দেখে আমার চাচা শাহাদাৎ হোসেন এসে বাধা দিলে তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে নিয়ে ওয়ারী থানায় দেয়। আমার চাচাকে মারতে দেখে আমার বাবা বাধা দিলে তারা আমার বাবাকে মেরে রক্তাক্ত করেন।' 

প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বাসায় তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ মিজুর। এরপর আহতাবস্থায় তার বাবাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলেও জানান ভুক্তভোগী মিজু। কাঁদত কাঁদতে এই প্রতিবেদককে নিহতের ছেলে  যুবদল নেতা মিজু বলেন, 'ভাই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে পুলিশ প্রহরায় হত্যা করেছে, আমার চাচাকে পুলিশি প্রহরায় মেরে রক্তাক্তা করে ওয়ারী থানায় দিয়েছে। আমরা বিএনপির রাজনীতি করি, ভাই বিএনপির রাজনীতি করা অন্যায়? আমি বাসায় ছিলাম না, বাসায় আমাকে খুঁজতে পুলিশ যায় দেখে আমি বাসায় থাকি না।' 

ঘটনা সম্পর্কে জানতে ওয়ারী থানায় যোগাযোগ করা হলে, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন হাওলাদার বাংলাভিশনকে বলেন, গতকাল এক ব্যক্তি মারা গেছে শুনেছি, তবে তাকে পিটিয়ে মারা হয়নি। তার পরিবার থানাকে লিখিত দিয়েছে, তাদের ওপর কেউ হামলা করেনি এবং তাকে কেউ পিটিয়ে হত্যা করেনি।' 
সেইসাথে, তার বাবা অসুস্থজনিত কারণে মারা গেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

তবে, পুলিশের দাবি অস্বীকার করেন নিহতের ছেলে মিজু। বলেন, 'পুলিশের পাহারায় তারা আমার বাসায় হামালা করেছে। আমারা বাবাকে পুলিশের পাহারায় মারা হয়েছে। আমরা মামলা করবো। রাতে বাসায় পুলিশ  বাসায় ঢুকে আমার বাসায় মহিলাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক লিখিত নিয়ে গেছে। সেখানে কী লেখা ছিল তা আমরা কেউ জানি না।'

সেই সঙ্গে মিজু বলেন,'আমার বাসার চারদিকে আশপাশের অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা আছে, সেখানে আপানারা এসে চেক করলেই দেখতে পারবেন কারা কারা হামলা করেছে।'

তবে, ঘটনার প্রায় ১৫ ঘণ্টা পার হলেও এখনও থানায় কোনো মামলা বা হত্যার অভিযোগ আসেনি বা এই ঘটনায় কাউকে আটকও করা হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মিল্লাত হোসেনের লাশ নেওয়া হয়েছে রাজধানীর মিডফোর্ড হাসপাতালে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: