প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে প্রেরণ
								প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা আড়াইটায় শামসুজ্জামানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ।
এদিকে শামসুজজামানকে আদালতে উঠানোর পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেছে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী দুই মামলায় জামিন চেয়েছেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার (২৯ মার্চ) আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদন শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। 
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান মামলার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মো. গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে শামসকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৫৮।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে এক দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। বলা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও, ছবি দেয়া হয় একটি শিশুর। ১৭ মিনিটের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রথম আলো। খবরটি সংশোধন করে তারা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ঘটনার পর একটি বেসরকারি টেলিভিশন বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনটিতে যা পরিবেশন করা হয়েছে, সেটি ভুল। শিশু জাকির হোসেন আসলে দিনমজুর নয়, একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আর তার নাম সবুজ। প্রতিবেদক তার ছবি তুলেছেন। পরে ১০ টাকা দিয়ে চলে গেছেন বলে জানায় সবুজ।
বহুল আলোচিত ওই ছবি প্রকাশের দুদিন পর, বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর চারটার দিকে প্রথম আলোর সেই প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেফতার করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাশের আমবাগান এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
ওই বাড়ির মালিক ও শামসের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) গভীর রাতে ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল সিআইডি পরিচয়ে শামসের বাসায় ডুকে। এরপর জাবি‘র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ সিআইডি পরিচয় দেয়া ওই দলটি শামসকে নিয়ে বটতলার নুরজাহান হোটেলে সেহরি খান। এরপর ভোর ৫টার দিকে শামসসহ তারা পুনরায় বাসায় ফিরে তল্লাশি চালায়। একপর্যায়ে শামসের ল্যাপটপ, প্রটেবল হার্ডডিক্স এবং মোবাইল জব্দ করে।
বিভি/এইচএস
						


							
							
 
										
							
							
							
							
							
							
							
							
							
							
											
											
											
											
মন্তব্য করুন: