আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হাফেজ রেজাউল, ক্ষতিপূরণ ও বিচার দাবি
নিহত যুবক হাফেজ রেজাউল করিম
গত ২৮ জুলাই রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত ওই যুবক কোরআনের হাফেজ, নাম রেজাউল করিম।
নিহত রেজাউল করিম যাত্রাবাড়ীর ‘জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া’ মাদ্রাসার দাওরা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ী শেরপুর জেলায়। ঘটনার দিন এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন।
বৃহৎ এ প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাানন, হাফেজ রেজাউল করিম সেখানকার জালালাঈন জামাতের (স্নাতক-১ম বর্ষ) ছাত্র ছিলেন। হাফেজ রেজাউল করিম কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন না।
এদিকে, হাফেজ সন্তানকে হারিয়ে রেজাউলের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে শোকের মাতম চলছে। তার বাবা কৃষক আবদুস সাত্তার বড় ছেলেকে এভাবে হারিয়ে দিশেহারা। আর তার মা রেনু বেগমের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে সেখানকার আকাশ-বাতাস।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কওমী ছাত্র ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দলগুলো।
নিহতের মাগফিরাত কামনা করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে খুনের দায় এড়িয়ে না যেয়ে প্রশাসনকে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি শহীদ পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ইসলামী দলগুলোর নেতৃবৃন্দ।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: