তাঁত পল্লীতে নেই খুটখাট, নেমেছে নীরবতা (ভিডিও)
দফায় দফায় সুতা, রঙসহ তাঁত কাপড়ের কাঁচামালের দাম বাড়ায় তাঁতের কাপড় তৈরি করে উৎপাদন খরচও তুলতে পারছে না দেশের বৃহত্তম তাঁত সমৃদ্ধ অঞ্চল পাবনা ও সিরাজগঞ্জের প্রান্তিক তাঁতিরা ফলে এবার ঈদকে সামনে রেখে তাঁত পল্লী গুলিতে থেমে গেছে খুটখাট, নেমেছে নীরবতা।
তাঁত কাপড়ের ব্যবসার সবচেয়ে বড় মৌসুম হওয়ায় প্রতি বছর রোজার ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে উঠে পাবনা ও সিরাজগঞ্জের তাঁতিরা। গত দুই বছর করোনার কারণে আশানুরুপ ব্যবসা করতে পারেনি তাঁতিরা, লোকসান পুষিয়ে নিতে এ বছর ধার কর্য করে কারখানা চালু করলেও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং বাজারে আশানুরুপ কাপড় বিক্রি না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে তাঁতিরা।
তাঁতিরা জানান, তাঁত কাপড়ের কাঁচামাল রঙ ও সুতার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত এক বছরে প্রতিটি সুতার দাম ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে অথচ কাপড়ের দাম সে তুলনায় বাড়েনি ফলে লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে তাঁত কাপড়ের পাইকারি ব্যবসায়িরা জানান, এবার ঈদের কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা করতে পারছে না তারা। তাঁতিরা জানান, ঈদে কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা করতে না পারলে মূলধন হারিয়ে পথে বসতে হবে তাদের।
তবে ঈদের শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম এন্ড পাওয়ালুম মালিক সমিতি কেন্দ্রয়ী নেতা হায়দার আলী।
সরেজমিনে পাবনা ও সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লিগুলো ঘুরে দেখা গেছে ক্রমাগত লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে অধিকাংশ প্রান্তিক তাঁতিরা ইতিমধ্যে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। বড় ব্যবসায়ীরা অর্ধেকের বেশি তাঁত বন্ধ রেখে কোনরকম কারখানা চালু রেখেছে।
বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম এন্ড পাওয়ালুম মালিক সমিতির দেয়া তথ্য মতে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ তাঁত পল্লী গুলিতে ৬ লাখ তাঁতের মধ্যে ৪ লাখ তাঁত গত কয়েক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে।
তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে তাঁতিরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: