কমছে ভূ-গর্ভের পানির স্তর, বিপদে রাজধানীবাসী (ভিডিও)
রাজধানীতে ক্রমেই বাড়ছে পানির সংকট। ওয়াসার প্রায় ৮শ পাম্প ২৪ ঘণ্টা পানি উত্তোলনের কাজে ব্যস্ত । তবুও গ্রাহকের চাহিদা মিটছে না। ফলে নিত্যপ্রয়োজনে ব্যবহৃত পানির সংকটে নাকাল হচ্ছেন নগরবাসী। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে ভুক্তভোগীদের।
ওয়াসার সংশ্লিষ্টরা বলছেন- বর্ষার ভরা মৌসুম শেষ হয়ে এলেও রাজধানীতে এবার মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি। ফলে ভূ-গর্ভে পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাওয়ায় পানি উত্তোলনে বেশি সময় লাগছে। এ কারণে দেখা দিচ্ছে পানি সংকট।
ঢাকা ওয়াসার তথ্যানুযায়ী- রাজধানীতে পানির চাহিদা দৈনিক ২৪০ কোটি লিটার থেকে ২৫৫ কোটি লিটার। উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে গড়ে ২৭০ কোটি লিটার পানি। এর মধ্যে দৈনিক ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পানি উৎপাদন করা হয় ৯১ কোটি লিটার। বাকি ১৭৯ কোটি লিটার গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূ-গর্ভ থেকে উৎপাদন করা হয়। অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ পানি উৎপাদন করা হয় মাটির নিচ থেকে। বাকি ৩৪ শতাংশ পানি আসে নদী থেকে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে। চাহিদার চেয়ে ১৫/২০ কোটি লিটার বেশি উৎপাদন সক্ষমতার পরও কেন পানির জন্য এই হাহাকার!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ভূগর্ভস্থ পানির উপর ওয়াসার যে নির্ভরশীলতা তা থেকে বেরিয়ে না আসলে অনাবৃষ্টির কারণে বিপদ বাড়বে রাজধানীতে। একদিকে, অনাবৃষ্টি- অন্যদিকে গ্রাহক চাহিদার যোগান দিতে প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ পানি ভূ-গর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয় তাতে ভূ-স্তরে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে। তবে দুটি উপায়ে ভূ-গর্ভের বিপর্যয় থেকে মুক্তি মিলতে পারে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা ওয়াসা বলছে, ইতোমধ্যে সায়েদাবাদ এবং গন্ধবপুর সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই প্রকল্প দুটি চালু হলে ভূ-গর্ভের পানির উপর নির্ভরশীলতা ৭০ শতাংশ কমে আসবে বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসনিক এ খান।
সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্প চালু না হওয়া পর্যন্ত পানি ব্যবহারে সচেতন হওয়ার তাগিদ ওয়াসার।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: