মিরাজ-রিশাদের ঘূর্ণিতে ১৯০ রানে অলআউট আফগানিস্তান

ছবি: মেহেদী হাসান মিরাজ
বাংলাদেশ শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। তাতে রানের চাকা সচল রাখতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আফগানিস্তানকে। তানজিম সাকিব নতুন বলে দারুণ বোলিং করেছেন। আর মাঝের ওভারগুলোতে মেহেদি মিরাজ-রিশাদ হোসেনদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যায় আফগানরা। ইব্রাহিম জাদরান এক প্রান্ত আগলে রেখে ৯৫ রান করলেও আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। তাতে দুইশর আগেই অলআউট আফগানিস্তান।
আবুধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করেছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেছেন ইব্রাহিম।
আজ বল হাতে ইনিংস ওপেন করেন গত ম্যাচে দারুণ বোলিং করা তানজিম সাকিব। নতুন বলে দারুণ বোলিং করেছেন তিনি। অপর প্রান্তে আক্রমণে আসেন একাদশে থাকা আরেক পেসার মুস্তাফিজ। দারুণ লাইন-লেংথে আফগানদের রানের চাকা টেনে ধরেন তিনি।
মুস্তাফিজকে দেখে-শুনে খেলায় আরেক প্রান্তে থাকা সাকিবকে আক্রমণ করতে যায় আফগানিস্তান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলটি লেগ স্টাম্পের ওপর খাটো লেংথে করেছিলেন সাকিব। সেখানে পুল করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তাতে ডিপ স্কয়ার লেগে জাকের আলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে ১১ রান করেছেন এই ওপেনার।
সেদিকুল্লাহ অটল তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। তানভির ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৩ বল খেলে ৮ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
৩৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। তবে ১১ বলে ৯ রান করার পর রিটায়ার্ট করেন রহমত। পেশির চোটে পড়েছেন তিনি। ইনিংসের শেষের দিকে আবারো উইকেটে আসলেও কোনো বল খেলার আগেই দ্বিতীয়বার চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
আজ শুরুর দিকে বাকিদের তুলনায় খানিকটা খরুচে ছিলেন মিরাজ। প্রান্ত পরিবর্তন করেও চেষ্টা করেছেন। তবে কিছুতেই যেন ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না অধিনায়ক। তবে ১৮তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পান তিনি। মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। ১২ বল খেলে ৪ রান করেছেন আফগান অধিনায়ক।
রিশাদ হোসেনও পরের ওভারেই উইকেট পেয়েছেন। এই লেগির গুড লেংথের বলে টার্নে পরাস্ত হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল আজমতউল্লাহর ব্যাটে কানা ছুঁয়ে স্লিপে তানজিদ তামিমের হাতে জমা পড়ে। তাতে ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানরা।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন নবি ও ইব্রাহিম। অভিজ্ঞ নবি ইতিবাচক শুরু করেছিলেন। তবে ৩০ বল খেলে ২২ রানের বেশি করতে পারেননি।
এরপর নাঙ্গেলিয়া খারোতি-রশিদ খানরা দ্রুত ফিরলে আরো একবার চাপে পড়ে আফগানরা। সেই চাপ আরো বাড়িয়েছেন ইব্রাহিম। সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ব্যাটার ফিরেছেন নার্ভাস নাইনটিতে। শেষিকে এএম গাজানফার ১৮ বলে ২২ রান করলেও দুইশ ছুঁতে পারেনি আফগানরা।
মিরাজ বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন। এ ছাড়া তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন ২টি করে উইকেট পেয়েছেন।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: