• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জালাল আহমেদ চৌধুরী`র মৃত্যুতে আমিনুলের শোক

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
জালাল আহমেদ চৌধুরী`র মৃত্যুতে আমিনুলের শোক

সাবেক ক্রিকেটার, জাতীয় ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও বরেণ্য ক্রীড়া লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী'র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। 

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর।  

শোকবার্তায় আমিনুল হক বলেন, জালাল আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ক্রিকেট কোচ। ষাট ও সত্তর দশকে তিনি ক্রিকেট খেলেছেন। দেশের অনেক শীর্ষ ক্রিকেটারই তার হাতে গড়া। দেশের ক্রিকেটের দিগন্তরেখা বদলে দিয়েছিলো যে সাফল্য, সেই ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি বিজয়ী দলটিও তাঁর হাতেই গড়া। দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি শুধু ক্রিকেটার কিংবা ক্রিকেট কোচই ছিলেন না, ছিলেন সফল ক্রীড়া সংগঠক, প্রশিক্ষক, আম্পায়ার, ক্রীড়া সাংবাদিক ও স্বনামধন্য ক্রীড়া লেখক। তাঁর মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি। শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

২০১১-এ তার স্ত্রী মারা যান। বিপত্নীক জালাল আহমেদ চৌধুরী'র দুই সন্তানই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। একটা সময় তিনিও চলে গিয়েছিলেন সেখানে। তবে কিছুদিন পরই চলে আসেন দেশ ও দেশের ক্রিকেটের টানে। আজিমপুরের একটি ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন এই বরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জানাযা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

জালাল আহমেদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৭-এ। বেড়ে উঠেছেন আজিমপুর কলোনিতে। ষাটের দশকে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু উদিতি ক্লাবের হয়ে। তিনি ছিলেন মূলত উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি কিপিং ও অফ স্পিন বোলিংও করতেন।

পরে প্রথম বিভাগে খেলেন ইয়াং পেগাসাস ক্লাবের হয়ে। পরে ধানমন্ডি ক্লাব, টাউন ক্লাবে খেলেন, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেন রেলওয়ের হয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিসিএসে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করলেও থেকে যান তিনি ক্রিকেটেই। ১৯৭৯-এ কোচিং কোর্স করে আসেন ভারতের পাতিয়ালা থেকে, যেখানে তিনি প্রথম।

এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে কিছুদিন চাকরি করার পর তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব দিয়ে। পরে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোচিং করান আবাহনী, মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া, ধানমণ্ডি, ইয়াং পেগাসাস, সাধারণ বীমা, কলাবাগানসহ বিভিন্ন ক্লাবে। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও ঢাকার শীর্ষ ক্রিকেটে কাজ করেছেন কোচ হিসেবে। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি বিভিন্ন সময়। এছাড়াও বিসিবির হোম ডেভেলপমেন্ট, ক্রিকেট অপারেশন্স, আম্পায়ার্স কমিটিসহ নানান ভূমিকায় কাজ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে।

 

বিভি/এনএম/রিসি 

মন্তব্য করুন: