১০ ও ১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ, বিনামূল্যে ওমরার সুযোগ পেলেন ২ শিক্ষার্থী
মাত্র ১০ ও ১৬ মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ করে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ঝিনাইদহ জেলার আল কলম হিফজ মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী। আর এ অসামান্য কৃতিত্বের পুরস্কার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের পবিত্র ওমরাহ হজ্ব পালনে পাঠানো হচ্ছে।
দুই শিক্ষার্থী হলো- মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা (১১) ও তানভীর মাহমুদ ইফাদ (১১)।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের আল কলম হিফজ মাদ্রাসায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই দুই কৃতি শিক্ষার্থীসহ মোট ৫ জন হিফজ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা, সনদ প্রদান এবং এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি বলেন, দুই কৃতি শিক্ষার্থী অল্প সময়ে মহান আল্লাহর রহমত ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন হিফজ করেছে। এটি অত্যন্ত কৃতিত্বের বিষয়। পড়াশোনায় মনোযোগী হলে সম্মান, সফলতা ও কৃতিত্ব অর্জন হবে। সকল শিক্ষার্থীকে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষিত নাগরিক দেশ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা মাগুরার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের উপশহর পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা মিয়া মোহাম্মদ হাসান জাকির পেশায় ব্যবসায়ী। গত বছরের মে মাসে শিক্ষার্থী মিয়া মোহাম্মদ মোস্তফা ঝিনাইদহের আল-কলম হিফয মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ভর্তির পর অসুস্থতা জনিত কারণে চার মাস বিরতি থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১০ মাস ১৮ দিনে পুরো কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করেন তিনি।
অপর শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ ইফাদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামের কে এম তিতুর ছেলে। তিনিও একই মাদ্রাসা থেকে মাত্র ১৬ মাসে কোরআন হিফজ করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো কোরআন হিফজ করা অত্যন্ত কঠিন ও বিরল অর্জন। এই দুই শিক্ষার্থীর অধ্যবসায় ও মনোযোগ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
মাদ্রাসার পরিচালক শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, তাদের এই অসাধারণ কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ওমরাহ হজে পাঠানো হবে, যাতে তারা আল্লাহর ঘরে গিয়ে শুকরিয়া আদায় করতে পারে। এই অর্জনে শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ফাউন্ডেশনে উপ-পরিচালক রেজাউল করিম, আল-কলম ফাউন্ডেমনের চেয়ারম্যান শায়খ মুহাম্মদ সাইদুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: